মোঃ তৈয়ব আহমেদ স্টাফ রিপোর্টার শাহজাদপুর প্রতিনিধি: দারিদ্র্যতাকে জয় করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দরিদ্র রিকশা চালকের মেয়ে চাঁদনী খাতুনের। সে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মাদলা গ্রামের রিকশা চালক চাঁদ আলীর কন্যা। তার মা পার্শ্ববর্তী একটি কারখানায় কাজ করে, ১ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চাঁদনী সবার বড়।
দারিদ্র্যতাকে পড়ালেখা জন্য প্রতিবন্ধকতা না ভেবে শত কষ্টের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে গেছে সে। কাকিলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে পিএসসি পাস করে পোতাজিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সেখানে জেএসসি ও পরে এসএসসি পাশ করে শাহজাদপুর সরকারি কলেজে শিক্ষাজীবন শুরু করে।
বাবা মা কাজে বাইরে থাকলে চাঁদনী সংসারের যাবতীয় কাজ করা সহ ছোট ভাই ও বোনকে দেখাশোনা ও পরিচর্যা করে থাকে। অবসরের সময় বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন হস্তশিল্প তৈরিতে অভ্যস্ত মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
দারিদ্র পিতা চাঁদ আলী অভাবে সংসার পরিচালনা করায় মেয়েকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে পারেননি। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাদনীকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। চাঁদনীর এই সফলতায় যেমন খুশি তার পরিবার তেমনি খুশি প্রতিবেশীরাও।
চাঁদনীর পিতা চাঁদ আলী জানান, রিকশা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করতেই হিমসিম অবস্থা আমার এর মধ্যে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে কষ্ট হতো। আমরা কখনো স্বপ্নেও দেখিনি আমার মেয়ে ডাক্তার হবে। মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার খবরে আমরা অনেক আনন্দিত। তবে এখন মেয়ের ভর্তি ও মেডিকেলে পড়ালেখার খরচ নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমাদের পক্ষে তার পড়ালেখার খরচ যোগার করা সম্ভব না।
এই বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া চাঁদনী খাতুন জানায়, ছোটবেলায় পড়ালেখার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিলনা। ৪র্থ শ্রেণী থেকে আগ্রহ সহকারে পড়ালেখা শুরু করি। পিএসসিতে বৃত্তি পাই, পরে পোতাজিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণীতেও বৃত্তি অর্জন করি। সেখানে শিক্ষকরা আমার পড়ালেখায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এসএসসিতে জিপিএ ৫ সহ উত্তীর্ণ হয়ে শাহজাদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হই।
তিনি আরো বলেন, আমরা দরিদ্র তাই বুঝি গরিব মানুষ অসুস্থ হলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া কঠিন। তাই চিকিৎসক হয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষকে সেবা করতে চাই। তবে বর্তমানে মেডিকেলের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করাটাই বড় সমস্যা।