খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গলাচিপা-দশমিনা আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, "দল এখনও কাউকে মনোনয়ন দেয়নি, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছি। তবে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। মরতে হলে একসাথে মরবো, বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবো— এটাই আমাদের অঙ্গীকার।" মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় গোলখালী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এই জনসভায় শত শত নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম। বক্তব্যে হাসান মামুন আরও বলেন, "৪৬ বছর ধরে গলাচিপা-দশমিনা আসনে বিএনপির কোনো এমপি নেই। এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই আমদের দমাতে পারবে না। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, তবে জনগণের প্রত্যাশা ব্যর্থ হলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। রক্ত দিতে হলে একসাথে দিব, লড়বো একসাথে।" তিনি জোট রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, "এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগে না, একজনের সন্তান অন্যকে ডাকে না—তেমনি বাইরের কাউকে প্রার্থী দিলে আমরা অবহেলিতই থাকবো। তাই জনগণের মতামত নিয়েই আমি নির্বাচনে অংশ নেব।" সভায় বিশেষ অতিথি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, "হাসান মামুন নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থী, তবে মার্কা এখনও নির্ধারণ হয়নি। যে মার্কাই হোক, আমরা তার পক্ষে থাকবো।" প্রধান বক্তা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার বলেন, "আমরা হাসান মামুনকে ছাড়া কাউকে চিনি না। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি গলাচিপা-দশমিনা থেকে নির্বাচন করবেন, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।" সভায় বক্তারা একবাক্যে দাবি জানান- গলাচিপা-দশমিনা আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনকেই মনোনয়ন দিতে হবে। অনুষ্ঠানে গোলখালী ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ, এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। জনসভার পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর, যেখানে একটাই স্লোগান ধ্বনিত হচ্ছিল— "হাসান মামুন এগিয়ে চলো, গলাচিপা বাসি তোমার সাথে!"