বর্তমান দেশে বেকার বেড়েই চলেছে কিন্তু মিলছেনা কোন সমাধান। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে বেকারত্বের হার। বর্তমানে আমাদের দেশের সবচাইতে বড় সমস্যার একটি আকার ধারণা করে রয়েছে বেকার সমস্যা। দেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে লক্ষাধিক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে কর্মসংস্থানের খোঁজে কিন্তু মিলছে না কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। যার কারণে দেশে নানা ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকরা। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার দিন দিন সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। গত নভেম্বর মাসে যার হার দাঁড়ায় ৬.৯১শতাংশে পৌঁছায়। ২০২১-২২অর্থবছরের শেষ এর মাস জুলাই দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৪৭শতাংশ যা নভেম্বরে বেড়ে আরো নতুন করে দাঁড়ায়। দুই দশকে ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশে বেকারত্বের হার এমন তুলনামূলক আরও বৃদ্ধি দেখা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর কর্মকর্তারা বলেন, সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তির জরিপ পরিচালনা করেছিলেন। বিবিএস বেকারত্বের হার পেয়েছিলেন ৪.২ শতাংশ। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে এ হার বেড়ে দাঁড়ায় ২.৭১। ২০০০ সালে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৪.৩ শতাংশ। যা গত দুই দশকে ৪.৫ শতাংশের বেশি কখনো হয়নি। কিছু বিশেষজ্ঞ ৩-৫ শতাংশ বেকারত্বের হার কে স্বাভাবিক মনে করে। এ হারটি কোন স্থিতিশীল নয় বরং গতিশীল লক্ষমাত্রা। দেশের জাতীয় পর্যায়ের বেকারত্বের হারের মধ্যে তুলনায় তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। দেশের ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ১২.২৮ মিলিয়ন তরুণের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ পড়াশোনা, চাকরি বা প্রশিক্ষণের আওতায় নেই বলেই, বিবিএস -এর সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তির জরিপে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর হিসাব বলছে,দেশে কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ।দেশে শ্রমশক্তির মোট পরিমাণ ৫ কোটি ৬৭ লাখ।এর মধ্যে কাজ করছে ৫ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার জন।যার অর্থ বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ ৮০ হাজার। বেকারত্ব সমস্যা সমাধান করতে হলে শিক্ষিত বেকারদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যদিকে তাদেরকে সুদমুক্ত সহজশর্তে ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এছাড়া বেকার সমস্যা সমাধানে দেশের শিল্পপতিদের দায়িত্ব রয়েছে।তারা যদি শিল্পায়নে এগিয়ে আসেন, তাহলে বেকার সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। তাই বেকার সমস্যা সমাধানে দেশের সরকার ও শিল্পপতিদের এগিয়ে আসতে হবে।