বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন ধলী গৌরনগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল বন্ধ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র‌্যাব-১৪, এর অভিযান পরিচালনা করে ১৯ জন দালাল চক্র গ্রেফতার। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে জনগণের সরকার: আমিনুল হক রাঙ্গাবালীতে গরু চুরি করতে গিয়ে আটক ৫ উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ২০ কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে কালীগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দলের কাছে বিচার চাইলেন হামলায় আহত দুর্গাপুরের বিএনপি নেতা দুর্গাপুরে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৩ জন গ্রেফতার দলের কাছে বিচার চাইলেন হামলায় আহত দুর্গাপুরের বিএনপি নেতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ কেজি গাঁজা ও ০১টি ট্রাকসহ ০২ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। জলঢাকায় এনসিপির আয়োজনে ৩৬ জুলাই বিজয় মেলা উদ্বোধন মনপুরার ইতিহাসে ভয়াবহ বজ্রপাত কাকড়া শিকারীর মৃত্যু, ছয়টি গরু ও একটি মহিষের প্রাণহানি মনপুরায় বিএনপির দুই গ্রুপের পৃথকভাবে ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন জামালপুরে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালী জলঢাকায় জুলাই ৩৬ বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন। ধনবাড়ীতে ওএমএস এর মাধ্যমে আটা বিক্রয় কার্যক্রম শুরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রাজশাহীর চারঘাটে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

ফারুক হোসেন,ব্যুরো প্রধান রাজশাহী:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৭৭৭ বার পঠিত

বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।

এদিকে সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে জায়গা করে নিচ্ছে আধুনিক প্লাস্টিক, সিরামিক, সিনথেটিক, ধাতব, কাচ ও ম্যালামাইনের বিভিন্ন সামগ্রী। যার কারণে মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদাও দিনকে দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

চারঘাট উপজেলার খোর্দ গোবিন্দপুর , নন্দনগাছী, পরান পুর, রাওথা গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য মৃৎশিল্পীদের বাসস্থান। যা সহজেই যে কারোর মনকে পুলকিত করে। একসময় এ গ্রামগুলো মৃৎশিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্পসামগ্রীর প্রসারের কারণে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুকূল বাজারের অভাবে এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথ।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,নিত্য ব্যবহার্য হাড়ি-পাতিল, ঘটি-বাটি, শানকি, কলসি, পোড়া মাটির পুতুল, মাটির মূর্তি, অলংকৃত পোড়ামাটির ফলক, মাটির প্রদীপ, ফুলদানি, খোলা, কড়াই, কয়েলদানি, এস্ট্রে, মগ, কলস, ব্যাংক, দৈ এর পাত্র ইত্যাদি সব তৈজসপত্র। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুটি বানানো খোলা, কড়াই ও দৈ রাখার পাত্র। শীতকালে ফুলদানি, ফুলের টব ওকলসি বিক্রি হয় ভালো। এছাড়া একেক সময়ে এক ধরনের জিনিস বিক্রি হয়। তবে দুই যুগ পূর্বে এ শিল্পতে যে প্রাণ ছিল, তা আজ নেই বললেই চলে। এনিয়ে নানান সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেন,প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদকের নিকট।

কাঠের গোল চাকতির ওপর মাটি রেখে তা ঘুরিয়ে সুনিপুণ হাতে ফুলের টব তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন সরদহ ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী খিতেন কুমার পাল। তিনি জানান, মৃৎশিল্পের জন্য পর্যাপ্ত মাটি আহরণ ও সংরক্ষণের সমস্যা, বাড়তি খরচ, উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত যন্ত্রপাতির অভাব ও প্লাস্টিক- সিরামিকসহ ধাতব দ্বারা তৈরি আসবাবপত্রের দৌরাত্ম্যর কথা।

এমন সঙ্কট নিরসনে তার দাবি- উন্নত কলাকৌশলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ক্ষুদ্র ঋণ ও উন্নত যন্ত্রপাতির। আধুনিক কলাকৌশলসহ উন্নত হিট মেশিন ও নকশা করার যন্ত্রপাতি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অনেক উন্নতমানের সিরামিক্সের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় মাটির পণ্য তৈরি সম্ভব। এতে আবারো মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে বলে দাবি মৃৎশিল্পী খিতেনের।
চারঘাট আলহাজ্ব এমএ হাদি ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক বাসুদেব পাল বলেন, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে তাল মেলাতে হলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন ওই সমস্ত শিল্পের সাথে জড়িতদের সরকারি সহযোগিতার। যেমনটি করছে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, নেপালসহ অন্যান্য দেশগুলো। তারা তাদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত কলাকৌশল এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বীয় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছে। এমনকি তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্রশিল্পের পণ্যগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, অথচ আমরা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ।

অন্যথায়, অচিরেই ঐতিহ্যবাহী মাটির এ শিল্পটি মাটির সাথেই চিরতরে মিশে যেতে পারে। যদি এমনটি হয়, তবে আমাদের আগামীর প্রজন্ম চিনবে না- কুমার, কামার বা পাল কাদের বলে, তাদের কাজ কি ছিল?

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991