বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
ঘোষনা
কবি বৃষ্টি মিনা পেলেন কবি সংসদ বাংলাদেশ সেরা কবি সম্মাননা ২০২৫ গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩ রেস্তোরাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ যুবলীগের ২ সদস্য গ্রেফতার মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্য, এলাকায় স্বস্তির বাতাস চলো জি ভাই, হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই” গোমস্তাপুরে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত। দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার প্রকাশক, আছিয়া রহমানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাতৃজগত পরিবার ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহে আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে- দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে ট্রান্সমিশন লাইনে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হলেন নেসকোর দুই কর্মী “মরতে হলে একসাথে মরবো, বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবো”—গলাখালী জনসভায় হাসান মামুন গাজীপুরে এক রাতে ৩টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড কাশিমপুরে চক্রবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ। অনিয়ম ও অবহেলার লালমোহন হাসপাতাল : নিজেই একটা আস্ত রোগী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির টানাপোড়েন : নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই গোপালপুরে ব্র্যাকের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ ধোবাউড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু… ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে: আবু সাঈদ চাঁদ জলঢাকাবাসীর ভালবাসায় সিক্ত বিএনপি নেতা কমেট চৌধুরী রংপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের পুনর্মিলনী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে সবসময় থাকবো — সামসুজ্জামান সামু

ঐতিহ্যবাহী ‘গুটিদাড়া’ খেলা দেখতে দর্শকদের ঢল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১৫৪ বার পঠিত

শেখ তারিকুল ইসলাম রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা:   গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুটিদাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকা শেরপুরে সদ্য তোলা ফসলি জমিতে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী গুটিদাড়া খেলা। বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী চিকিৎসক ফরিদুল হুদা স্মরণে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় দলের ২২ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। পরে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকেই মাঠে জড়ো হন বিভিন্ন বয়সী দর্শক। গুটিদাড়া খেলার সময় তারা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে উৎসাহ জোগান। এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাকে ধরে রাখার আহ্বান জানান খেলোয়াড়রাসহ দর্শকরা।

সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির শেরপুরে দেখা যায়, লাল ও সবুজ দুই দলে বিভক্ত হয়ে বাঁশের দেড় হাত লম্বা দাড়া ও ঘুঁটি নিয়ে অংশ নেন খেলোয়াড়রা। খেলার নিয়মানুযায়ী মহিষের শিং দিয়ে তৈরি বিশেষ গোলাকৃতির ঘুঁটিতে প্রায় দেড় হাত লম্বা বাঁশের দাঁড়া দিয়ে আঘাত করে নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে পাঠাতে হয়।

আর বিপরীত দিকে অবস্থান করা ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে কেউ একজন লুফে নিলে প্রতিপক্ষের পয়েন্ট কাটা বলে গণ্য হয়। এভাবে প্রথমে ঘুঁটিতে আঘাত করতে নেমে নির্ধারিত ৩০ মিনিটের মধ্যে লাল দল ১২ পয়েন্ট অর্জন করে।

জবাবে সবুজ দলের খেলোয়াড়রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান। এ সময় দর্শকরা করতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন।

জানতে চাইলে দর্শক ও খেলোয়াড়রা জানান, হারিয়ে যেতে বসা গুটিদাড়া খেলাকে মাঠে ফিরিয়ে আনা হলে যুবসমাজ নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে। খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে।

ইমরান খান নামে একজন খেলোয়াড় বলেন, গুটিদাড়া খেলা ঐতিহ্যবাহী খেলা। এটি এখন দেখা যায় না। আমরা চাই খেলাটি যেন সব সময় গ্রামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। হারিয়ে যাওয়া এই খেলা যেন মাঠে আবারও ফিরে আসে।

বৃদ্ধ খেলোয়াড় শাহজাহান খান বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে গুটিদাড়া খেলা দেখে আসছি এবং খেলে আসছি। খেলার জন্য আমরা শাহবাজপুর, সরাইলসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু আমাদের বর্তমান যুগের ছেলেরা এইসবের ধারেকাছে নেই। আমরা চাই এমন খেলা বেশি বেশি আয়োজন করা হোক। তাহলে যুবকরা মোবাইলে আসক্তি কমিয়ে খেলাধুলার দিকে মনোযোগী হবে।

খেলা দেখতে আসা শাকিল মিয়া বলেন, আমি জন্মের পর থেকে এই খেলা দেখে আসছি। তার আগে আমরা বাবা-চাচারা গুটিদাড়া খেলেছিলেন। এখন আমরা দেখতে আসছি। খেলা দেখে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। আমরা চাই এই খেলা যেন সব সময় চালু থাকে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রয়াত ক্রীড়ামোদী চিকিৎসক ফরিদুল হুদার ছেলে দেশের খ্যাতিমান চিকিৎিসক ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব বলেন, আমার বাবা রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য উৎসাহিত করতেন। তিনি গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে মাঠে ফিরিয়ে আনতেন। এমন একটি খেলা গুটিদাড়া।

তিনি আরও বলেন, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য খেলাধুলার কোনও বিকল্প নেই। অনেক লোক যে খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, সেসব খেলাকে উৎসাহিত করা উচিত। তাই আমি বাবার পথ ধরেই এখানে এসেছি। এই খেলাকে ধরে রাখার জন্য আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

খেলার আয়োজক জেলা সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, বাঙালির হারিয়ে যাওয়া এই খেলাটি সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে যদি গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এই খেলাটিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে ধরে রাখার জন্য আগামী দিনে আরও বড় আকারে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। এতে একাধিক দল অংশগ্রহন করার কথাও জানান তিনি।

ঘণ্টাব্যাপী চলা খেলায় উভয় দলের ২২ জন খেলোয়ার অংশগ্রহণ করেন। পরে উভয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991