গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
উপজেলা শাখাহার,রাজাহার এবং কামদিয়া ইউনিয়ন বাদে পৌরসভা সহ প্রায় সকল ইউনিয়নে হরদম চলছে ভূগর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন পরিবহন ও বিক্রি। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিদর্শন করে দেখা যায় লল্লিবিলে ফসলি জমির ভিতর থেকে নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রায় চৌদ্দটি মেশিন চলমান। এ যেন প্রশাসনের চোখে তকমা লাগানো হয়েছে।গারামারা গ্রানের বালুদস্যু জাপু, মিলন,আমবাড়ী গ্রামের জাইদুল,আশাদুল সহ নাম না জানা অনেকে বলু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। গত দুই বছর ধরে লল্লি বিলে ভূগর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন ও বিক্রি চললেও তহসিলদার রহিদুল ইসলাম বলেন আমার জানানেই। শালমারা ইউনিয়নে বল্লি বিলে চলমান আছে আরো আটটি মেশিন নিলকান্তপুর গ্রামের সেলিম পিতা জলি,মমিন বারপাইকা,উলিপুরে তিনটি,কোচাশহর ইউনিয়নে বাজারের আশেপাশে চলছে দশটি,কামারদহ ইউনিয়নে ঘোড়ামারায় চলছে তিনটি, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নে নাকেরভিটা, কুড়িপাইকা গ্রামে রনি নামে এক বালুদস্যু, অনন্তপুর গ্রামে মামুন,মাস্তা গ্রামের আনারুল। সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমারপুরের কথা আর নাইবা লিখলাম। দরবস্ত ইউনিয়নে মানিক,মইদুল বালু মামলার আসামী হওয়া সর্তেও কোন খুটির বলে চালিয়ে যাচ্ছে বালু ব্যবসা। প্রশাসন পানি নিয়ন্ত্রণ বাধে খুটি দিয়ে আসলে পরের দিন তোলা হয় খুটি চলছে ব্যবসা।এবিষয়ে বালুদস্যু মানিক বলেন প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলছে পয়েন্ট আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। একই ভাবে অন্যন্য ইউনিয়নে চলছে ভূগর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন ও বিক্রি। ফুলবাড়ী ইউনিনের খাটাখালী ব্রীজের কাছ থেকে অনবরত চলছে ব্যবসা। রাখালবুরুজ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মিজানুর পিতা মাজেদ আলী,শাহাজাহান পিতা নুরুল,সাদ্দাম সরদার পিতা মমিনুল।তালুককানুপুর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক(মুলা) পিতা তারামিয়া,আবু সামাদ কুদ্দুস গ্রাম উত্তর ধর্মপুর,কাজলার রকি চৌধুরী। নাকাই ইউনিয়নে ও একই অবস্থা। যে ছ্যালোমেশিন ব্যবহার হত জমিতে পানি সেচের কাজে সেই মেশিন ব্যবহার হচ্ছে বালু উত্তোলনের কাজে। সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত চলে মেশিনের ঝনঝনানী জন জীবন দূর্বিসহ। রাস্তাঘাট নষ্ট করে ফসলী জমি নষ্ট করে যত্রতত্র চলছে ভূগর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন।