মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
ক্যান্সার আক্রান্ত সুরাইয়া বেগম কে আর্থিক সহায়তা প্রধান অধিকার বঞ্চিত শিশু ফাউন্ডেশন। আখাউড়া পৌরসভা মসজিদ পাড়া ৪নং ওয়ার্ডে এক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নীলফামারীর ওয়ালীউল্লাহ অলি বিশ্ব হ্যান্ডরাইটিং চ্যাম্পিয়ন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গৌরব ভূমি কর্মকর্তার মেহেদির ঘুষের ফাঁদে শিক্ষক, সরকারি খাল উদ্ধারেও অনিয়মের অভিযোগ! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুরে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্টের নির্মান শিল্পী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে ১৪০ (একশত চল্লিশ) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার। হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় শামীম মাসউদ খান জয় নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৭ ঝিনাইদহে সরিষার তেলে পোড়া মবিল, একজনের যাবজ্জীবন চট্টগ্রামে লায়ন্স ক্লাবগুলোর যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী মানবসেবামূলক কার্যক্রম। রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইমদাদুল হক চ্যানেল এস টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি নিযুক্ত জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে ফরিদগঞ্জে বিএনপির ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি সাহেবগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বই বিতরণ হিউম্যান এইড কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন উপলক্ষে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভাটারা থানা জিতলো জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র গণসংযোগে জনস্রোত — ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণে লায়ন হারুনুর রশিদ লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ এর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ধানের শীষের পক্ষে ঘরে ঘরে পথসভা, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস ফরিদগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

‘পাথরকান্ডে সংশ্লিষ্টরা কেউ দায় এড়াতে পারেন না’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৯৭ বার পঠিত

‘পাথরকান্ডে সংশ্লিষ্টরা কেউ দায় এড়াতে পারেন না’

রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা স্থানীয় জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং সামগ্রিকভাবে প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাংলাদেশে এ দায়িত্ব কয়েকভাবে আইন ও নীতিমালায় নির্ধারিত আছে। তবে দায়িত্ব পালন এবং অবহেলা দুটোই রাষ্ট্রের বিবেচিত হওয়া উচিত। তবে শুরুটা হোক এখান থেকেই।

সংবিধানগত ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক ব্যক্তি জনগণের সেবা করার এবং জনসম্পদের রক্ষা করার জন্য শপথবদ্ধ। অর্থাৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব জনসম্পদ রক্ষা করা।

ডিসি (জেলা প্রশাসক) তিনি জেলা পর্যায়ে সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ডিসি সরকারি সম্পত্তি, জমি, ভবন, স্থাপনা ইত্যাদি রক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। ডিসি ভূমি ব্যবস্থাপনা, দখলমুক্ত রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি সংরক্ষণের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি প্রয়োজনে পুলিশ, র‍্যাব বা আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগাতে পারেন।

এসপি (পুলিশ সুপার) তিনি জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্তের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রেও পুলিশ কাজ করে। দণ্ডবিধি (Penal Code) 1860 ও দুর্নীতি দমন আইন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা আত্মসাতের শাস্তি সংক্রান্ত ধারাগুলো বাস্তবায়নে এসপি নেতৃত্ব দেন।

শাসন কাঠামোতে যৌথ দায়িত্ব যেমন শুধু ডিসি বা এসপি নয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা) এবং অন্যান্য দপ্তরও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অংশ নেয়। উদাহরণ: সড়ক, ব্রিজ, স্কুল, হাসপাতাল, বনাঞ্চল, নদী—এসব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করে।

সংক্ষেপে, রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা আইনি ও প্রশাসনিকভাবে ডিসি, এসপি ও শাসন ব্যবস্থার মৌলিক দায়িত্ব এবং তারা এই কাজে অবহেলা করলে সেটি দায়িত্বে গাফিলতি বা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে, যা বিচার্য অপরাধ।

ধরুন; যদি ডিসি (জেলা প্রশাসক) বা এসপি (পুলিশ সুপার)-এর উপস্থিতিতে এবং তাঁদের জ্ঞাতসারে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট হয় এবং তাঁরা তা প্রতিরোধের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেন তাহলে সেটা অবহেলা, দায়িত্বে গাফিলতি এবং পরিস্থিতিভেদে অপরাধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা হিসেবে গণ্য হতে পারে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এর শাস্তির ভিত্তি কয়েকটি জায়গা থেকে আসে; সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি ও শাস্তিমূলক বিধান। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী: দায়িত্বে গাফিলতি, অবহেলা বা অসদাচরণের জন্য বদলি, পদাবনতি, বেতন কর্তন, বরখাস্ত, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদি প্রশাসনিক শাস্তি হতে পারে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ফৌজদারি শাস্তি (দণ্ডবিধি অনুযায়ী) বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর কয়েকটি ধারা প্রযোজ্য হতে পারে। ধারা 119 সরকারি কর্মচারীর কর্তব্য পালনে অবহেলা যার কারণে অপরাধ সংঘটিত হয়; শাস্তি: সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়। ধারা 217 দায়িত্বে থেকে অপরাধ রোধে ব্যর্থতা; শাস্তি: সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা। ধারা 409 যদি সম্পদ আত্মসাৎ বা লুটে সরাসরি যোগসাজশ থাকে, তবে শাস্তি: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড এবং জরিমানা।

দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এ যা বলা হয়েছে, যদি প্রমাণ হয় যে ডিসি/এসপি ইচ্ছাকৃতভাবে সহযোগিতা করেছেন বা সুবিধা নিয়েছেন, তবে এটা দুর্নীতি হিসেবে গণ্য হবে। এই ধারায় শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড, ন্যূনতম ৪ বছর।

প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়া: অভিযোগ উঠলে বিষয়টি অভ্যন্তরীণ তদন্ত বা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করতে পারে। প্রমাণ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে একইসাথে বিভাগীয় মামলা ও ফৌজদারি মামলা চালানো সম্ভব। সংক্ষেপে; দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা (বদলি, বরখাস্ত, পদাবনতি), সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড। যোগসাজশ বা সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য দুর্নীতি বা আত্মসাতের মামলা, যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

পাথরকান্ডে ওখানকার ডিসি, এসপি বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনি ও নৈতিকভাবে দায় এড়াতে পারেন না, যদি ঘটনাটি তাঁদের এখতিয়ার ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং তাঁরা তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেন। এখানে বিষয়টি কয়েকটি দিক থেকে স্পষ্ট যে,
আইন অনুযায়ী দায়িত্ব সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ: সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবা ও জনসম্পদ রক্ষার শপথবদ্ধ। বাংলাদেশ দণ্ডবিধি 1860, ধারা 119, 217: সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে ফৌজদারি দায় হতে পারে।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন আইন ২০১৭: খনিজ (যেমন সাদা পাথর) অবৈধ উত্তোলন, পরিবহন, মজুদ বা বিক্রয় রোধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এ যাবতকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন মামলা বা জিডিও করেনি প্রশাসন বরং সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করায় একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, প্রতিনিধিসহ মামলার শিকার হয়েছেন।

প্রশাসনিক এখতিয়ারে ডিসি: জেলা পর্যায়ে সরকারি সম্পত্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রধান নির্বাহী। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, অভিযানে নেতৃত্ব ও অবৈধ কার্যকলাপ দমন তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে। এসপি (পুলিশ সুপার): আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী পরিচালনা করেন। অবৈধ পাথর উত্তোলন বা পাচার অপরাধ হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়। ঘটনাটি যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে, তবে প্রশাসনের তথ্য না থাকা প্রমাণ করা কঠিন। কারণ সাদা পাথর লুট সাধারণত বড় আকারের পরিবহন, ডাম্পার/ট্রাক, খনন যন্ত্রপাতি জড়িত থাকে, যা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক।

দায় এড়ানোর শর্ত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যা বাতলে দিয়েছে তা হচ্ছে, ডিসি বা এসপি কেবল তখনই দায় এড়াতে পারেন যদি তাঁরা প্রমাণ করতে পারেন, যে ঘটনাটি সম্পূর্ণ গোপনে হয়েছে এবং তাঁদের কাছে আগে কোনো অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। তথ্য পাওয়ার পর তাঁরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁদের ক্ষমতার বাইরে কোনো কারণে (যেমন আদালতের স্থগিতাদেশ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991