
খায়রুল ইসলাম
ঝিনাইদাহ বিআরটিএ’তে ঘুষ বাণিজ্যের রাজত্ব কায়েম করেছেন মোটরযান পরিদর্শক ছোট বাবু এস এম সবুজ ও সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর, এই দু’জন ঘুষ বাণিজ্য তুঙ্গে নিয়ে গেছেন।
জানা যায়, লাইসেন্স ফিটনেস রুট পারমিট সব জায়গায় রয়েছে ইন্সপেক্টর সবুজের হাত, এই মহান পবিত্র বিআরটিএ’র সুনাম এই দু’জন মিলে দিন দিন ক্ষুন্ন করেই চলছেন। বিআরটি এ চাকরিতে প্রবেশ করে দুর্নীতি দিয়ে সবুজের যাত্রা শুরু, তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই কুখ্যাত দুর্নীতির রাজপুত্র মোটরযান পরিদর্শক এস এম সবুজ দুর্নীতিতে এতই পারদর্শী ও ক্ষমতাবান কাউকে সে পরোওয়া করে না। সবুজ যেন রাম রাজত্ব কায়েম করেছে ঝিনাইদাহ বিআরটিএ’তে। সুত্রমতে আরো জানা যায় বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে খুলনা বিভাগীয় বিআরটি এ অধিনস্ত ঝিনাইদহ জেলা সার্কেল বিআরটিএ অফিস। সরকারি সাইনবোর্ডে আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত করেই যাচ্ছেন মোটরযান পরিদর্শক এস এম সবুজ। সরকারি নিয়মনীতির পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায় ২০২৪ সালে ঝিনাইদহ জেলা সার্কেল বিআরটি এ অফিস এ মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে চলতি দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে আলোচিত একজন দুর্নীতির রাজপুত্র হিসেবে সকলের কাছে তিনি খুবই পরিচিত মুখ। বেশির ভাগ গাড়ি মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, সরকারি নিয়মের বেশি টাকা ঘুষ দিলে ঘরে বসে গাড়ির ফিটনেস কাগজ পত্র তার মাধ্যমে পাওয়া যায়। আর ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গ্রাহকদের ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায়। এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় বিআরটি এ অধিনস্ত বগুড়া জেলা সার্কেলের বিআরটি এ অফিস এ মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে ২০২১/২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় এর আগে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু হঠাৎ ইন্সপেক্টর সবুজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। দালালদের নিয়ে সবুজ প্রতিদিন সন্ধ্যায় মিটিংয়ে বসে। সবুজের রয়েছে দালাল সিন্ডিকেট ছাড়া বিআরটিএ’র কোন কাজ চলে না। এই যদি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? প্রতিদিন ইন্সপেক্টর সবুজের দুর্নীতির চিত্র বেড়েই চলছে। এদিকে ঝিনাইদহের ভুক্তভোগি সাধারণ জনগণ মানববন্ধনের আয়োজন করার কথা ভাবছে বলে জানা যায়। ইন্সপেক্টর সবুজ নামে বেনামে লাখ লাখ টাকার এফডিআর ঢাকায় রয়েছে গুলশান বনানী বিলাসবহুল ফ্লাট। ইন্সপেক্টর সবুজের এত টাকার উৎস কি? কিভাবে সে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে? বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগির দাবি যেন এই অসৎ ইন্সপেক্টর’কে অতি দ্রুত ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ইন্সপেক্টর সবুজের লাগাম যদি এখনো টেনে না ধরা হয় তাহলে দিন দিন তার দুর্নীতির চিত্র বেড়েই চলবে। প্রধান উপদেষ্টা বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মহোদয় সবার কাছে জোর দাবি যেন এই দুর্নীতিবাজ ইন্সপেক্টর সবুজকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাহাকে উপযুক্ত বিচারের সম্মুখীন করা হয়। বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে চোখ রাখুন আমাদের পত্রিকায়।