
নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়া এলাকার কচুয়া রোডে অবস্থিত আব্দুর জলিলের ৪ তালা ভবনের নিচে মা মেডিকেল এন্ড আয়ুর্বেদিক হোমিও ফার্মেসীর মালিক ডাঃ সোহাগ ফোন করে নাঈমকে ডেকে নিয়ে শাটার বন্ধ করে প্রথমে হত্যার চেষ্টা করে পরে নাঈমের কাছ থেকে জোর করে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় এবং কাছে থাকা নগদ ১৮০০০০/ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। গতকাল (৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রুপদিয়ার কচুয়া রোডে এই ঘটনা ঘটে। নাঈম হোসেন, পিতা মৃত আঃ গনী মোল্লা, গ্রাম মুনসেফপুর, পোস্ট রুপদিয়া,থানা কোতয়ালী, জেলা যশোর, নাঈম বলেন ষ্টাম্প লিখে নিয়েছে দুই জনের নামে ১/ মোঃ ইমামুল মোল্যা,পিতা হাসেম আলী মোল্যা,২/ মোঃ নুর ইসলাম খা,পিতা বাবর আলী খা, গ্রাম হাটবিলা, পোস্ট শাখারীগাতী,থানা কোতয়ালী, জেলা যশোর, ষ্টাম্প লিখে আনতে সাহায্য করে আরিফ। নাঈম হোসেনের কাছ থেকে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফার্মেসী থেকে বের করে দিয়ে দ্রুত তিন জন ঘটনার স্থান থেকে পালিয়ে চলে যায়, নাঈম অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের সবাইকে খবর দিলে তারা এসে নাঈমকে দ্রুত যশোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাঈম বলেন আমাকে অপরিচিত নাম্বার থেকে ডাঃ সোহাগ নামে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে বলে দেখা করতে নাঈম বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে ডাঃ সোহাগের ফার্মেসীর সামনে আসে পরে ফামেসীর ভিতরে ডেকে নিয়ে যায়, ভিতরে যেয়ে দেখতে পায়, ওই খানে আরো তিন জন অপরিচিত লোক বসে আছে হটাৎ করে ফার্মেসী শাটার বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয়ার সাথে সাথে নাঈম কিছু বুজার আগেই তার উপর হামলা চালায় সোহাগ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করার অনেক চেষ্টা করে। নাঈমকে চাক্কু দিয়ে কয়েক জায়গায় কোপ দেয় ও হকি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে নাঈম তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে কয়েক জায়গায় কোপ লাগে,পরে সন্ত্রাসীরা নাঈমের মাছের ঘেরের জমি জোর করে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে নেয়, এবং তার কাছে থাকা ১,৮০০০০/ টাকা সন্ত্রাসীরা নিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা নাঈমকে বলে তোর পরিবারের উপর মায়া থাকলে কাউকে কিছু বলবি না যদি কাউকে কিছু বলিস তাহলে তুইসহ তোর পরিবারের কাউকে জীবিত রাখবো না। নাঈম সাংবাদিকদের বলেন আমি একজন সাধারণ মানুষ আমি কোন দল করি না আমি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম আমার সাথে কোন শত্রুতা নেই আপনারা প্রজন হলে আমার এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন আমার মাছের ঘের আছে এই নিয়ে আমার জীবিকা নির্ভর করে ওই সোহাগ ও তার সন্ত্রাসীরা আমাকে হকি ও চাক্কু দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে, হত্যা করতে না পেরে আমার মাছের ঘেরের জমি জোর করে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। নাঈমকে জিজ্ঞেস করা হয় সে মামলা করবে কিনা তখন নাঈম বলে থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম থানা থেকে বলছে কোটে মামলা করেন আমি খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি আজকে কোটে মামলা করবে বলে জানান তিনি। নাঈম বলেন এই সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই এবং আমার কাছ থেকে জোর করে যে ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে সেই ষ্টাম্প ফেরত চাই। নাঈম হোসেন বলেন আমি এবং আমার সপরিবার ভয় ও আতঙ্কে রয়েছি, আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রশাসনের কাছে আমি দাবি জানাচ্ছি আমার নিরাপত্তার জন্য।