
মো:মঈন উদ্দিন উজ্জ্বল মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর অংশে দখলদারদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সওজের যৌথ অভিযানে একে একে উধাও হয়ে যায় দুই পাশের গড়ে ওঠা শতাধিক দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশফাকুল হক চৌধুরী। মাঠে ছিলেন মাধবপুর থানার ওসি সহিদ উল্যা এবং মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা। সকাল থেকে আল আমিন ফুডফেয়ার পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কজুড়ে চলে উচ্ছেদের টানা কর্মযজ্ঞ।
দীর্ঘদিনের দখল–জট, ফুটপাতের ওপর দোকান গড়ে ওঠা, সড়কের ধারে কাঠামো নির্মাণ—সব মিলিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। ৬ লেন প্রকল্পের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বারবার। সওজ–এর কর্মকর্তাদের দাবি, সড়ক উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতেই এ অভিযান।
ম্যাজিস্ট্রেট আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন— “মহাসড়ক দখল করে কেউ ব্যবসা চালাতে পারবে না। উন্নয়নকাজে প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই আজকের অভিযান।”
প্রকল্প–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভূমি অধিগ্রহণের আওতাধীন দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনায়ও হাত পড়বে শিগগিরই। ইতোমধ্যে মালিকদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া চলমান। পরবর্তী ধাপে এ সব স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে।
যাত্রীরা উচ্ছেদকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিনের জট ও ভোগান্তি থেকে এখন মুক্তি মিলবে।
মাধবপুরের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন— “এই অংশে প্রতিদিনই তীব্র যানজট থাকত। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।”
তবে উচ্ছেদ হওয়া কয়েকজন দোকানি দাবি করেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত।
এক দোকানি আক্ষেপ করে বলেন— “বছরের পর বছর এখানে দোকান করে সংসার চলেছে। এখন উচ্ছেদ হলে কোথায় যাব?”
এ বিষয়ে ওসি সহিদ উল্যা বলেন—“মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়মিত অভিযান চলবে। দখল ছাড়াও অন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্রিয়।”
দিনভর অভিযানে মাধবপুরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলমুক্ত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের আশা, নিয়মিত মনিটরিং থাকলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে, কমবে দুর্ঘটনা আর ভোগান্তি।