
মোঃ সুজন আহাম্মেদ সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী–১ (গোদাগাড়ী–তানোর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন এবং মনোনয়নবঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন এদিন প্রকাশ্য রূপ নেয়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তানোর উপজেলা সদরে এই উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর পুরো উপজেলা জুড়ে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সন্ধ্যায় শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থকেরা। ঠিক সেই সময় শরীফ উদ্দিনের পক্ষের লোকজন মিছিলে ধাওয়া দেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। মুহূর্তেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন, কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়।
সুলতানুল ইসলাম তারেক জানান, প্রার্থী পছন্দ না হলে প্রতিবাদ হবেই। সারাদেশেই হচ্ছে, আমাদের এখানে হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল করছিলাম, হঠাৎ শরীফ উদ্দিন সাহেবের লোকজন হামলা চালায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার নেতাকর্মীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং গাড়ির চাবি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারেক দাবি করেন, শরীফ উদ্দিন তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে এলাকায় কোনো বিক্ষোভ না হয়, আর তার লোকজনই হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তানোর থানার ওসিকেও পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা মো. আব্দুস সালাম বলেন, মিছিল-মিটিং করা সবার অধিকার। মিছিলকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোনয়ন ঘিরে টানাপোড়েন বাড়তে থাকায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্ব রাজশাহী–১ আসনের নির্বাচনী সমীকরণেও নতুন প্রশ্ন তুলছে।