
খন্দকার জলিল জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী:-
আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর চার আসনে সর্বমোট ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন বেড়েছে, তেমনি সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ ও কৌতূহল।
মনোনয়ন দাখিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—
পটুয়াখালী-১ আসনে ৯ জন
পটুয়াখালী-২ আসনে ৬ জন
পটুয়াখালী-৩ আসনে ৭ জন
পটুয়াখালী-৪ আসনে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী দৌড়ে নেমেছেন।
পটুয়াখালী-১ (৯ জন প্রার্থী):
আলতাফ হোসেন চৌধুরী (বিএনপি), মোঃ ফিরোজ আলম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), মোঃ সাইয়েদুর রহমান (খেলাফত মজলিশ), মোঃ আব্দুল ওহাব (এবি পার্টি), মোঃ নাজমুল আহসান (জামায়াতে ইসলামী), মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম (গণঅধিকার পরিষদ), গৌতম চন্দ্র শীল (জাসদ), আঃ মন্নান হাওলাদার (জাতীয় পার্টি) ও মোঃ জাকির হোসেন মঞ্জু (স্বতন্ত্র)।
পটুয়াখালী-২ (৬ জন প্রার্থী):
মোঃ শহিদুল আলম তালুকদার (বিএনপি), আব্দুল মালেক হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), মোঃ শফিকুল ইসলাম (জামায়াতে ইসলামী), মুহাম্মদ আইউব (খেলাফত মজলিশ), মোঃ হাবিবুর রহমান (গণঅধিকার পরিষদ) ও মোঃ রুহুল আমিন (এবি পার্টি)।
পটুয়াখালী-৩ (৭ জন প্রার্থী):
নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি সমঝোতা প্রার্থী), আবু বক্কর ছিদ্দিকী (ইসলামী আন্দোলন), হাসান মামুন (স্বতন্ত্র), মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম (গণঅধিকার পরিষদ), অধ্যাপক মোঃ শাহ আলম মিয়া (জামায়াতে ইসলামী), মিজানুর রহমান বাবু (স্বতন্ত্র) ও অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুল হক (স্বতন্ত্র)।
পটুয়াখালী-৪ (৫ জন প্রার্থী):
এবিএম মোশাররফ হোসেন (বিএনপি), ডাঃ জহির উদ্দিন আহমেদ (খেলাফত মজলিশ), মোস্তাফিজুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন), মোঃ আবদুল কাইউম (জামায়াতে ইসলামী) ও মোঃ রবিউল হাসান (গণঅধিকার পরিষদ)।
ভোটের অপেক্ষায় পটুয়াখালী
মনোনয়ন দাখিল শেষ হওয়ার পর এখন পটুয়াখালীর রাজনীতিতে একটাই আলোচনা—১২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনটি ঘিরে ভোটারদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রত্যাশা, উৎসাহ ও আশার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণ মানুষ চাইছেন, নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রাথমিক আলোচনায়– পটুয়াখালী-১ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, শহিদুল আলম তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ হাসান মামুন, নুরুল হক নুর, পটুয়াখালী-৪ এবিএম মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান অন্যদের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে আছেন বলে জানা যায়।
তবে রাজনীতির মাঠে শেষ বলে কোন কথা নেই। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা—এই নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য, যেখানে জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত।