সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ
বহুদিন পরে সিলেটে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়, যেখানে আহবায়ক রাখা হয়েছে এক সময়ের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়া মহিলা নেত্রী বর্তমান ১৯,২০,২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনাকে, আর যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে ইন্জিঃ মরিয়ম পারভীন কে, ইন্জিঃ মরিয়ম পারভীনের বাড়ি পাবনা জেলায়, যে জামাআত নেতাদের আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় রাজাকার হিসাবে ফাসিতে ঝুলানোর পর ওরা সিলেটে পাড়ি জমালে, কিছু স্বার্থান্বেশী আওয়ামীলীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের নাম নিয়ে হাতে নিয়েছে লাখ,লাখ টাকা, গড়ে তুলেছে বিভিন্ন প্রতিষ্টান। খবর নিয়ে জানা যায় ইন্জিঃ মরিয়ম পারভীন বর্তমানে সিলেট মহানগরির ১১ নং ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছে, আর কিছু আওয়ামীলীগের নেতাদের টাকার বিনিময়ে পদপদবী হাতিয়ে নিয়েছে, খবর নিয়ে আরো জানা যায়, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার ভাই বলেন, আমাদের সিলেটে যুব মহিলা লীগের নেত্রীর বড় অভাব, না হলে পাবনা থেকে এসে সিলেটের যুব মহিলা লীগের নেত্রীর আসনে কেমনে বসে? তিনি আরো বলেন, আমার কাছে অনেকে তাহার বিষয়ে বলেছে, সে অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যবসা, আর রাজনীতিতে নেতা বানানোর নাম নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা, আর যার মদদ দাতা সিলেটের ই কিছু আওয়ামীলীগের নেতা, বিষয়টি নিয়ে শহরে আলোচনা চলছে এবং এ বিষয়ে আমরা আগে জানলেও কথা বলতে পারি নাই,কারন টাকা থাকলে কিনা হয়, শপলা টিবির সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো হিসাবে তার খবর নিতে গেলে সিলেটের একজন যুব মহিলা লীগের নেত্রীর মুখে কষ্টের ছাপ দেখা যায়, তিনি বলেন ভাই, আমাদের টাকা নাই বলে আমরা সিলেটে রাজনীতি করেও সিলেটের মেয়ে হিসাবে কমিটিতে আসতে পারিনা, কিন্তু পাবনা থেকে এসে সিলেটের সহজ, সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকার কাছে সিলেটের কিছু নেতা বিক্রি বয়ে গেছেন, তারা টাকার বিনিময়ে পদবী যাকে মন চায় তাকে দিচ্ছেন, তাদের সংগটনের প্রতি কোন দরদ নেই, তারা টাকার কাছে জিম্মি। ইতালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা বলেন, আমার সংগঠন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান পূনর্বাসন সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি তাকে করেছিলাম, কিন্তু, তার বিরুদ্ধে মহিলাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসলে আমি তাকে বহিষ্কার করি। ইন্জিঃ মরিয়ম পারভীন সিলেটে যেন এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার সহযোগী নাটোর থেকে আসা শহীদ, আর আসাদ নামে দুজন ও কিছুদিন আগে জেল থেকে বেরিয়ে সিলেট ছেড়েছে একই প্ররোচনা দিয়ে টাকা আত্নসাত আর ঐ টাকা দিয়ে কোন ভাবে মূল দলে আসলেই পিছনের সকল অন্যায় যেন ধুয়ে মুছে যাবে, শহীদ আর আসাদ নামে দুজন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে কেন্দ্রীয় সদস্য হয়ে যায়, পরবর্তীতে মিডিয়ার চোখে ধরা পড়ায় তারা জেল হাজতে যায়, একই চক্রের সদস্য ইন্জিঃ মরিয়ম পারভীন, তারা একসাথে কখনো কোন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃ,কখনো সিলেট বিভাগীয় নেত্রী, ছদ্ম বেশে সিলেটের কোন একটা সংগঠনে ঢুকতে পারলেই হলো, তাই জামাআতে ইসলামীর দুর্দিনে সিলেটকে নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে সিলেটের আওয়ামীলীগের নেতাদের টাকার বাগ,বাটোয়ারা দিয়ে, সিলেটের ত্যাগী মহিলা নেত্রীদের বাদ দিয়ে নিজেকে যুগ্ম আহবায়কের পদবী হাতিয়ে নেয়া চারটি খানি কথা নয়, তাই দ্রুত সিলেট যুব মহিলা লীগের আহবায়ক কমিটি থেকে বাদ দিয়ে সিলেটের ত্যাগী মহিলাদের দিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জন্য গতকাল রাত পর্যন্ত কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও দেশের বাহিরে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।