খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সারা দেশের ন্যায় আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত ইলিশ নিশ্চিত করতে এই সময়ে জেলেদের কঠোরভাবে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এ সময়ে কোনো জেলে, ব্যবসায়ী বা পরিবহনকারী আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশকে রক্ষা করা। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ, যা দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হলে ভবিষ্যতে এর উৎপাদন বাড়বে এবং জেলেরা আরও বেশি ইলিশ আহরণে সক্ষম হবেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেছেন, আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও এই প্রচারণায় যুক্ত করা হবে। নদী ও হাটবাজারে নিয়মিত টহল চালানো হবে এবং কোনোভাবে যাতে আইন ভঙ্গ করা না হয় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।
এ সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমও চলবে, যাতে সবাই বুঝতে পারে মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ মৎস্য ভাণ্ডার তৈরি করা সম্ভব।
সার্বিকভাবে, গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে—এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে ইলিশের স্থায়িত্ব ও দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় থাকে।