রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমানের শ্বশুরের ভোলায় দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদগঞ্জে ব্যাপক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদগঞ্জে দিনব্যাপী সাদাকাহ, কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া মাহফিল বগুড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জাগপার দোয়া মাহফিল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত শাহজাদপুরে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ৪ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বিজয়নগর সিংগারবিল এলাকায় বিজিবির অভিযানে ৫৫ লাখ টাকার ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস জব্দ নওগাঁয় ডিবির অভিযানে চার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঝিনাইদহে নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে শিশু সাবা’র লাশ উদ্ধার, প্রতিবেশী শান্তনা আটক গোমস্তাপুরে নিউ রফিক অটো রাইস মিলের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ফতুল্লায় পরকীয়ার জেরে সুমন খলিফা হত্যা : ২৪ ঘণ্টায় রহস্য উদ্ঘাটন, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ঝিনাইদহে শিশু নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার, আটক ১ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আমিনুল হকের দোয়ানুষ্ঠান ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী মুরাদ হত্যা মামলার আসামী বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রেজওয়ানা নাহিদ আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিরপুরে যুবদল কর্তৃক দোয়ার আয়োজন আটঘরিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফিল্ড কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন

গোমস্তাপুরের জমি গুলোতে হলুদে ভরা ২৬৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ

স্টাফ রিপোর্টারঃসামিরুল ইসলাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৫৪৬ বার পঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ফসলের মাঠে কৃষকের স্বপ্ন দুলছে। হলুদের চাদরে ঢেকে গেছে দিগন্তবিস্তৃত সরিষা ক্ষেত। যতদূর চোখ যায় হলুদের সমারহ। উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মাঠগুলোতে চোখ জুড়াবে হলুদ চাদরে ঢাকা ফসলের মাঠ। চোখ জুড়নো হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য।
জানা গেছে, ভোজ্য তেলের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। এতে খরচ হয় কম। সেচ ও সার লাগে অত্যন্ত কম। সরিষা পাতা উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার হয়।
চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৩ মেট্রিকটন। গত বছরের তুলনায় উপজেলায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষা করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, দুই একটি চাষাবাদ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপণ করা হয়ে থাকে। সেচ, সার ও কীটনাশক লাগে কম। কম খরচে সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে মাঠগুলোতে সরিষার ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
সরিষা কেটে অনেক কৃষক বোরো ধান চাষাবাদ করবেন। গোমস্তাপুর উপজেলায় এবার ২ হাজার পাঁচশ চল্লিশ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে টরি -৭ হচ্ছে ৮’শ হেক্টর, বারি-১৪ জাত ১ হাজার ১শ হেক্টর, বারি-১৫ জাত ৩৫০ হেক্টর, বারি-১৭ হচ্ছে ১৬০ হেক্টর, বারি-১৮ হচ্ছে ৩০ হেক্টর, বিনা-৯ হচ্ছে ২০ হেক্টর, বিনা-৪ হচ্ছে ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় ৪০ হেক্টর জমিতে বপণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে জমিতে ভালো ফলন হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলার, রহনপুর পৌরসভাসহ চৌডালা, গোমস্তাপুর, রহনপুর, বোয়ালিয়া, আলিনগর, বাঙ্গাবাড়ী,পার্বতীপুর ও রাধানগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে সরিষা চাষাবাদ ভাল করেছেন কৃষকেরা। ফুলে ফুলে ভরে গেছে মাঠ। কৃষকের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার।
রহনপুর এলাকার কৃষক আশরাফ আলী জানান, কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে উপজেলা কৃষি বিভাগ তাঁকে সরিষা চাষাবাদের জন্য সার ও বীজ বিনামূল্যে সহায়তা করেছে। জমিতে বীজ বপণ করে সরিষা ভাল হয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষাবাদে খরচ কম। উৎপাদন ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সামনে বছর অতিরিক্ত জমিতে সরিষা চাষ করবেন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫৪০ হে. জমিতে। উৎপাদন লক্ষামাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৩ মে. টন। এ বছর প্রণোদনা বীজ দেয়া হয়েছে দুই হাজার জনকে ও বিভিন্ন প্রকল্পের ৪১৭ জনকে প্রদর্শনী বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন জাতের সরিষা বারি -১৪ ও বারি-১৮ উপেজলায় সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। নতুন এ জাতের সরিষার ফলন বেশি এবং জীবনকাল কম। সরিষা কেটে কৃষকরা বোরো ধানও উৎপাদন করতে পারবে। একই জমিতে বছরে ২ থেকে ৩টি ফসল উৎপাদন সম্ভব এবং নতুন জাতের সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মণ হবে বলে কৃষি সম্প্রাসরণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান। তিনি ধারণা করছেন চলতি বছর উপজেলায় সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991