
নাজিম আল হাসান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি
চাকরি প্রত্যাশীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে চলতি বছরের ২১ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর দুপুরে এ তথ্য জানান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। তাদের দাবি বৈষম্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মেধাবী প্রার্থীরাই যেন উত্তীর্ণ হয়ে জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি প্রত্যাশী কমলেন্দু চাকমা বলেন,আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় আমরা এখন আনন্দিত। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের দাবি। অন্য এক চাকরি প্রত্যাশী আলপনা আক্তার বলেন,আমরা আশাবাদী চেয়ারম্যান আমাদের পরীক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এবার যেন পরীক্ষা যথাসময়ে হয়।
এর আগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, বিশেষ কয়েকটি মহলের চাপে গত ১১ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্ধারিত তারিখের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।
এ সংবাদ পাওয়ার পর বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল নয়টা থেকে চাকরি প্রত্যাশীরা পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং জেলা পরিষদের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশীরা পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং পূর্ব নির্ধারিত ১৪ নভেম্বরের পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় স্মারকলিপিটি জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশিদের হাতে তুলে দেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওইদিন জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশিদ বলেন,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। চেয়ারম্যানও জেলার বাইরে। তাছাড়া শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনায় পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন, যা বর্তমানে নেই। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা দেশে ফিরলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”