
স্টাফ রিপোর্টারঃ
যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী টিকিটের পাশাপাশি মালামাল উঠামানায় ৩-৪ গুণ বেশি টাকা আদায় নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। এ নিয়ে ঘাটের স্টাফ ও কুলি মজুরদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে দিনের পর দিন ইজারাদার এই কাজ করে আসছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
চরফ্যাশনের বেতুয়াঘাট থেকেই প্রতিদিন ৬টি লঞ্চ ঢাকা টু চরফ্যাসন এবং চরফ্যাশন টু ঢাকা আসা-যাওয়া করছে। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হচ্ছে। অভ্যন্তরীন নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম উপেক্ষা করে ঘাট টিকিটের নামে যাত্রী প্রতি ১০ টাকা নামে টোল আদায় করা হচ্ছে। টিকিটের গায়ে লেখা থাকছেনা কোনো মূল্য। কেউ যদি তার কারণ জানতে চায় তাকে হতে হয় হেনস্থার শিকার সেই সঙ্গে মালামাল উঠাতে ২০ টাকার স্থলে ৩০০-৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদারের লোক। এবং কারো কাছে সামান্য ব্যাগ পেলেই ব্যাগনিয়ে টানাটানি ঘাটের টাকা ছাড়া ব্যাগ সহ যাত্রীদের আটক করে রাখা হচ্ছে । ইজারাদারের নির্দেশেই বাড়তি এই টিকিটের হার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
ঘাটের হেনস্তার শিকার মোঃ ইয়াছিন আরাফাত অভিযোগ করেন, দেশের সব লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠতে ৫ টাকা ঘাট টিকেট দিতে হয়। ব্যতিক্রম কেবল চরফ্যাশনের বেতুয়াঘাটে। এখানে যাত্রী প্রতি ১০টাকা করে দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ইজারাদারের লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে লঞ্চ যাত্রীদের।
এবং তিনি গত ২৯ মে ২০২২ তিনি লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয় এবং বাইক নিজে ঘাটে উঠানোর পর কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘাটের ২০০ টাকা দাবি করলে সে রিসিট ছাড়া টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বাইক লঞ্চে উঠাতে বাধা দেয় ঘাটের লোকজন। একপর্যায়ে তার সাথে কথার কাটাকাটিতে তার বাইকটি ঘাট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার সাথে খুব খারপ আচরণ করে ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন। বিষয়টি তিনি চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে টিকেটের হার নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রতিদিনই অসংখ্য যাত্রী ঘাট স্টাফদের হাতে লাঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া যাত্রীদের মালামাল উঠাতে মোটা অংকের ঘাট ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা দেশের কোথাও নেই বলে অভিযোগ করেন অনেক ভুক্তভোগী।