তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহী তানোর উপজেলা পরিষদ চত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য-অর্পণের মধ্যদিয়ে, বিশেষ দোয়া, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে ১৭ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফ খানের সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদ চত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য-অর্পণের মধ্যদিয়ে, বিশেষ দোয়া, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি- বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২ তম শুভ জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এম.পি।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন; তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, মোঃ লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
তানোর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার সুজন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ মহিল ভাইস-চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান আবুবাক্কার সিদ্দিক।

আরো উপস্থিত ছিলেন; উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, তোফাজ্জুল হক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ওহাব হোসেন লালু, দপ্তর সম্পাদক, জিল্লুর রহমান, কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন, চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মজিবর রহমান, পাঁচান্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান নয়ন, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শাওন, কামারগাঁ ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান, সরনজাই ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমসহ, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড- ইউনিয়ন, থানা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেনঃ
বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। ৭ বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন তিনি এবং এই কলেজের বেকার হোস্টেলে আবাসন গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে শেখ মুজিব বিএ পাস করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি হোসেন সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সংস্পর্শে আসেন।