
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে দলের ভেতরে বিরোধ এবং অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের ক্ষোভ, সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং কিছু জেলায় সহিংসতা এখন সাধারণ দৃশ্য। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মাঠপর্যায়ের অবস্থান নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক তালিকায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলীয় ঐক্য পুনঃস্থাপন সম্ভব হবে। কিছু জেলায় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে। দলের কেন্দ্রীয় দফতর জানিয়েছে, সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অনেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে। তবু স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি। এছাড়া শরিকদের জন্য কিছু আসন ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্তও অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়িয়েছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শিগগিরই সব নেতাই প্রার্থীদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হবেন। কিন্তু জেলা পর্যায়ের কিছু নেতার মতে, মনোনয়ন কেন্দ্রিক বিরোধ এখনো তীব্র এবং নির্বাচনের সময় আরও প্রকট হতে পারে। সমমনা বা বাইরের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া ক্ষেত্রেও নতুনভাবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা আছে। মনোনয়ন শুধু প্রার্থিতা নয়, ক্ষমতার প্রতীক। তাই এর আশেপাশের বিভাজন দলীয় শৃঙ্খলা, নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং তৃণমূলের মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে। বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভ্যন্তরীণ ঐক্য বজায় রাখা। নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হয়, তবে এটি দলকে বিভাজন পেরিয়ে ঐক্যের পথে এগিয়ে নেবে। অন্যথায়, মনোনয়ন কেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব আগামী নির্বাচনে এবং দলের দীর্ঘমেয়াদি সাংগঠনিক শক্তিতেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি এখন এই প্রক্রিয়ার সফলতা বা ব্যর্থতার উপর নির্ভর করছে। লায়ন ড. এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ লেখক সাংবাদিক কলামিস্ট ও মানবাধিকার কর্মী