
মোঃ কবির হাওলাদার স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে র ১২ নং ডিগ্রি গ্রামের কবির মোল্লার একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে তলিয়ে যায়।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। এতে এফবি কবির মোল্লা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অনেক ট্রলারসহ বহু জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ১২ নং ডিগ্রি বাজারের মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল হাওলাদার । রাসেল হাওলাদার জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের কাছাকাছি এলাকায় রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ১২ নং ডিগ্রি কবির মোল্লার মালিকানাধীন এফবি কবির নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় বঙ্গোপ সাগরের মোহনায় তলা ফেটে ডুবে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা ঐ বোর্ডে থাকা ১০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। উদ্ধারকৃতরা হলেন মাঝি হানিফ হাওলাদার ( ৪৫) ছলেমান মোল্লা ( ৪৮) বাহাউদ্দীন সরদার (৩৬) ইউসুব শিকদার (৪০) তছলিম হাং ( ৪৮) জয়নাল মৃধা ( ৫২) শুকুর আলী হাং ( ৩৭) মিরন শিকদার ( ৫১)আলম খলিফা ( ৪১) বসির ( ৩৮)। এদের সবাই সুস্থ আছেন। এদিকে ট্রলারের মালিক কবির মোল্লা খবর পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন, তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন তিনি কথা বলার মত অবস্থায় নাই বলে পরিবার সুত্র যানায়। স্থানীয় জেলে মোঃ হাতেম মোল্লা বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ইলিশ ব্যবসার সাথে জরিত প্রতি বছর লস দিতে দিতে তার নিজের ২ একর সম্পত্তি ও বিক্রি করতে হয়েছে । সর্ব শেষ ধার কর্য করিয়া ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে আবার একটি নতুন বোর্ড বানান । আজকে “মিধিলা” বন্যায় পড়ে গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যায় তার বোর্ডটি । শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে এখন নিঃশ্ব প্রায় । এছাড়াও পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে যানা গেছে। তিরে আসা জেলেরা জানান সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ স্টেশনে কোষ্টগার্ড সূত্রে জানা যায় নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনকে অবগত করা হয়েছে। এদিকে ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাব মুক্ত হয়েছে শুক্রবার বিকাল নাগাদ এতে উপকূলীয় এলাকায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায় অধিকাংশ আমন ধান এবং খেসারী ডালের ক্ষতি হয়েছে ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে।