শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হৃদরোগজনিত সমস্যায় সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা হাসপাতালে ভর্তি চুয়াডাঙ্গা–২ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় বক্তব্য রাখলেন এমপি প্রার্থী মোঃ রুহুল আমিন গোমস্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম বাইরুল ইসলাম এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আনন্দ মিছিল ঝিনাইদহে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ৫৯তম আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন বগুড়ায় বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মানবতার ফেরিওয়ালা খান সেলিম রহমানের ৪৮তম জন্মদিন উদযাপন ঝিনাইদহে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত সড়ক দুর্ঘটনায় ঝাউদিয়ার দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত ইবি, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ঝিনাইদহে অজ্ঞাতনামা এক নারী অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার, পরিচয় জানতে পুলিশ-জনতার সহায়তা প্রয়োজন ঝিনাইদহে স্বপ্নচূড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ঝিনাইদহে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নাকি অন্য কিছু? খান সেলিম রহমান এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে মাতৃজগত পরিবারের উদ্যোগে জন্মদিনে আনন্দ, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছার বর্ণিল সমারোহ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত একদন্তে আব্দুল কাদের গার্লস স্কুলে ১১ শিক্ষার্থীর মাঝে পবিত্র কোরআন বিতরণ ঝিনাইদহের সাগান্না ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর অভিযান অবৈধভাবে সার মজুদ রাখায় ব্যবসায়ী কে জরিমানা তানোরে দুই বছরের সাজিদের করুণ মৃত্যুতে স্তব্ধ পুরো গ্রাম ফরিদগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক গণসংযোগ সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপার এর মতবিনিময়: ময়মনসিংহে হিজলা সিন্ডিকেটের ভয়ঙ্কর দৌরাত্ম্য বরযাত্রীর গাড়ি টার্গেট, নারী–শিশুকে হেনস্থায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক বাড়ছে

রাজধানীর মিরপুর মিল্লাত ক্যাম্পে ভয়ঙ্কর মাদকের আখড়া।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ বার পঠিত

সৈয়দ উসামা বিন শিহাব স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারের কঠোর জিরো টলারেন্স নীতির মধ্যেও রাজধানীর মিরপুর ১১ নং বিহারী মিল্লাত ক্যাম্প যেন পরিণত হয়েছে মাদকের অবাধ রাজ্যে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, নিয়মিত অভিযান—সবকিছুর মধ্যেই এখানে মাদকবাণিজ্যের ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে এলাকাবাসীর তীব্র অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, পুরো ক্যাম্পজুড়ে যে ভয়ঙ্কর মাদক সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারী, শাহনাজ, সোনিয়া, সায়মা, শাম্মী ও জামিলা—যাদের সম্পর্কে ক্যাম্পবাসীরা বলছেন,এরা মিল্লাত ক্যাম্পের মাদক সম্রাজ্ঞী। হিরোইন আনোয়ারী কে মাদকের মা হিসেবেও চিনে আসছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্যাম্পে হিরোইনের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাইকারি সরবরাহকারী আনোয়ারী। অভিযোগ রয়েছে— সাধারণ ক্রেতাকে নাকি তিনি হিরোইনের কোটি টাকার নিচে মাল দেন না। তার নাম এখন মিল্লাত ক্যাম্প সহ অন্যান্য ক্যাম্পে “মাদকের মা হিরোইন আনোয়ারী” হিসেবেই সবাই চিনে আসছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাইকাররাও নাকি তার সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভরশীল। স্থানীয়রা দাবি করেছেন—দেশের বিভিন্ন স্তরের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে শীর্ষ সন্ত্রাসী পর্যন্ত অনেকে তাকে সমীহ করে চলে। আবার প্রশাসনের সঙ্গে লেনদেনে ফাঁকফোকর দেখা দিলেই তার কোটি টাকার মাল ধরার ঘটনাও ঘটে বলে জানা যায়। ৫০ জন অস্ত্রধারী সিন্ডিকেটের পাহারায় পুরো ক্যাম্প এর অভিযোগ অনুযায়ী, নিজের নিরাপত্তা আর ব্যবসায়িক আধিপত্য বজায় রাখতে আনোয়ারী ৫০ জনের অস্ত্রধারী বাহিনী গড়ে তুলেছে, যারা ক্যাম্পের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পাহারা দেয়।

পরিবার-আত্মীয় সবাই মাদক নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত আছে —অভিযোগের চাপে ভূতুড়ে অবস্থায় মিল্লাত ক্যাম্পবাসী। তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে—ছেলে ওয়াহিদ, ভাগ্নি সায়মা ও সাম্মী, আত্মীয় মাশআলী, মেয়ের জামাই কামরান, সহযোগী মাহতাব—সহ মোট ১৫ জন আনোয়ারীর ব্যবসায় সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। এদের অনেকের ওপর পূর্বেও মাদক মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ। ৩০ সদস্যের কুইক রেসপন্স বাহিনী—অপরিচিত দেখলেই নজরদারি করে থাকে। খুচরা মাদক বিক্রির নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আনোয়ারী নাকি ৩০ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করেছে।

তাদের কাজ— ক্যাম্পে অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ, কোথা থেকে এসেছে–কেন এসেছে নজরদারি, এবং পুরো সিন্ডিকেটকে সতর্ক করে রাখে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না মিল্লাত ক্যাম্পের সাধারণ মানুষের দাবি— এরা এতটাই ভয়ঙ্কর প্রভাবশালী যে কেউই প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে সাহস করে না। ক্যাম্পে বাস করলেও মানুষ নীরবে আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটায়।

স্থানীয়দের দাবি, ক্যাম্পটি এখন শুধু বসতি নয়—এটি একটি সম্পূর্ণ সংগঠিত মাদক সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরএকাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে এবং প্রমাণ মিললে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী বলছে—মাদকের এই অন্ধকার সাম্রাজ্য ভেঙে দিতে মিল্লাত ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991