মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
আখাউড়া পৌরসভা মসজিদ পাড়া ৪নং ওয়ার্ডে এক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নীলফামারীর ওয়ালীউল্লাহ অলি বিশ্ব হ্যান্ডরাইটিং চ্যাম্পিয়ন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গৌরব ভূমি কর্মকর্তার মেহেদির ঘুষের ফাঁদে শিক্ষক, সরকারি খাল উদ্ধারেও অনিয়মের অভিযোগ! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুরে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্টের নির্মান শিল্পী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে ১৪০ (একশত চল্লিশ) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার। হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় শামীম মাসউদ খান জয় নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৭ ঝিনাইদহে সরিষার তেলে পোড়া মবিল, একজনের যাবজ্জীবন চট্টগ্রামে লায়ন্স ক্লাবগুলোর যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী মানবসেবামূলক কার্যক্রম। রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইমদাদুল হক চ্যানেল এস টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি নিযুক্ত জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে ফরিদগঞ্জে বিএনপির ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি সাহেবগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বই বিতরণ হিউম্যান এইড কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন উপলক্ষে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভাটারা থানা জিতলো জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র গণসংযোগে জনস্রোত — ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণে লায়ন হারুনুর রশিদ লায়ন এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ এর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ধানের শীষের পক্ষে ঘরে ঘরে পথসভা, সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস ফরিদগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

রাজশাহীর চারঘাটে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

ফারুক হোসেন,ব্যুরো প্রধান রাজশাহী:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১০৮৬ বার পঠিত

বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।

এদিকে সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে জায়গা করে নিচ্ছে আধুনিক প্লাস্টিক, সিরামিক, সিনথেটিক, ধাতব, কাচ ও ম্যালামাইনের বিভিন্ন সামগ্রী। যার কারণে মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদাও দিনকে দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

চারঘাট উপজেলার খোর্দ গোবিন্দপুর , নন্দনগাছী, পরান পুর, রাওথা গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য মৃৎশিল্পীদের বাসস্থান। যা সহজেই যে কারোর মনকে পুলকিত করে। একসময় এ গ্রামগুলো মৃৎশিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্পসামগ্রীর প্রসারের কারণে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুকূল বাজারের অভাবে এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথ।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,নিত্য ব্যবহার্য হাড়ি-পাতিল, ঘটি-বাটি, শানকি, কলসি, পোড়া মাটির পুতুল, মাটির মূর্তি, অলংকৃত পোড়ামাটির ফলক, মাটির প্রদীপ, ফুলদানি, খোলা, কড়াই, কয়েলদানি, এস্ট্রে, মগ, কলস, ব্যাংক, দৈ এর পাত্র ইত্যাদি সব তৈজসপত্র। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুটি বানানো খোলা, কড়াই ও দৈ রাখার পাত্র। শীতকালে ফুলদানি, ফুলের টব ওকলসি বিক্রি হয় ভালো। এছাড়া একেক সময়ে এক ধরনের জিনিস বিক্রি হয়। তবে দুই যুগ পূর্বে এ শিল্পতে যে প্রাণ ছিল, তা আজ নেই বললেই চলে। এনিয়ে নানান সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেন,প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদকের নিকট।

কাঠের গোল চাকতির ওপর মাটি রেখে তা ঘুরিয়ে সুনিপুণ হাতে ফুলের টব তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন সরদহ ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী খিতেন কুমার পাল। তিনি জানান, মৃৎশিল্পের জন্য পর্যাপ্ত মাটি আহরণ ও সংরক্ষণের সমস্যা, বাড়তি খরচ, উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত যন্ত্রপাতির অভাব ও প্লাস্টিক- সিরামিকসহ ধাতব দ্বারা তৈরি আসবাবপত্রের দৌরাত্ম্যর কথা।

এমন সঙ্কট নিরসনে তার দাবি- উন্নত কলাকৌশলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ক্ষুদ্র ঋণ ও উন্নত যন্ত্রপাতির। আধুনিক কলাকৌশলসহ উন্নত হিট মেশিন ও নকশা করার যন্ত্রপাতি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অনেক উন্নতমানের সিরামিক্সের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় মাটির পণ্য তৈরি সম্ভব। এতে আবারো মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে বলে দাবি মৃৎশিল্পী খিতেনের।
চারঘাট আলহাজ্ব এমএ হাদি ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক বাসুদেব পাল বলেন, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে তাল মেলাতে হলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন ওই সমস্ত শিল্পের সাথে জড়িতদের সরকারি সহযোগিতার। যেমনটি করছে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, নেপালসহ অন্যান্য দেশগুলো। তারা তাদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত কলাকৌশল এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বীয় ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছে। এমনকি তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্রশিল্পের পণ্যগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, অথচ আমরা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ।

অন্যথায়, অচিরেই ঐতিহ্যবাহী মাটির এ শিল্পটি মাটির সাথেই চিরতরে মিশে যেতে পারে। যদি এমনটি হয়, তবে আমাদের আগামীর প্রজন্ম চিনবে না- কুমার, কামার বা পাল কাদের বলে, তাদের কাজ কি ছিল?

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991