গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নরোশিয়া কাঁঠাল বিলে টমেটো চাষ করে লোকসান গুনছে অধিকাংশ কৃষক। টমেটোর বীজের প্রতারণার কারণে এমটি হয়েছে বলে অনেক কৃষক অভিযোগ করেছেন।
চাষী তরিকুল ইসলাম বলেন, ভাদ্র মাসে ১বিঘা ৩কাঠা মাটিতে ৫২৬ জাতের টমেটো রোপন করি। কিন্তু তার একমাস পরে অজানা এক জাতের টমেটো লক্ষ্য করি। এই জমিতে আমার মোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে ৩০/৪০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে বীজের প্রতারণা। হেসু আলম নামে এক ব্যক্তি আমার সাথে টমেটোর বীজ নিয়ে প্রতারণা করেছে। টমেটো চাষ করে আমাদের পরিশ্রম বৃথা হল এই প্রতারকের কারণে।এমন অভিযোগ ওই এলাকার অনেক চাষী করেছেন।
অপর কৃষক আব্দুল বাশির বলেন, আমার টমেটো জাতটি ৫২৬জাতের ছিল ।আমি দেড় বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করি। তাতে ৭০হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। খরচ বাদে প্রায় ৩০থেকে ৪০হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। আমার ছাড়া কাঁঠাল বিলের অন্য কৃষকদের লোকসান হয়েছে। কারণ তারা বীজের প্রতারণার শিকার হয়েছিল। বীজ যদি ৫২৬হতো তাহলে তাদের লোকসান হতো না বলে আমি মনে করি।
বীজ প্রতারণা কারি হেসু আলম বলেন, আমি ওই জায়গার কাউকে টমেটোর বীজ দি নাই। তারা কোথা থেকে বীজ নিয়েছে সেটা আমি জানিনা। আর আমি বীজ নিয়ে কারো সাথে প্রতারণা করিনি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, টমেটো চাষিদের আমরা রোগ বালাই দমন ও ভালোভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা লাভবান হয়। কিন্তু বীজ নিয়ে প্রতারণা হয়েছে এমন অভিযোগ আমি পাইনি। আপনি যেহেতু বললেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।