খালেদ হাসান ক্রাইম রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় সরকারী চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা মোঃ নবীন শেখ এবং সহযোগী মোঃ মাহমুদ হাসান মজনুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
বগুড়া জেলার সদর থানাধীন একটি প্রতারক চক্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে সদস্য ভর্তি করার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আনুমানিক ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে মোবাইলে কথা বলে প্রার্থীর মোবাইলে ভুয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠায়।
প্রতারক চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করে। একাধিক ভুক্তভোগী র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে উক্ত চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারের জন্য নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৪ মার্চ ২০২২ তারিখ রাত ১১.০০ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, বগুড়া এর একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এলাকায় অভিযান চালায় এবং প্রতারক চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ওই প্রতারক চক্রের মুল হোতা নবীর শেখ (৪৪), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আঃ খালেকের ছেলে।
এবং তার দেওয়া তথ্য মতে ০৫ মার্চ ২০২২ তারিখ ভোর ০৫.৩০ মিনিটে র্যাব-১২, বগুড়া পুনরায় আরো একটি আভিযান পরিচালনা করে মুল হোতার সহযোগী একই জেলার বিশু বাড়ী এলাকার মোঃ আঃ গনি মিয়ার ছেলে মোঃ মাহমুদ হাসান মজনু কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন হতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জেলার সহজ সরল মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে। প্রতারকরা আরো স্বীকার করে যে, ভূয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে তারা ইঁষশ ঝগঝ ক্রয় করে অনলাইনের মাধ্যমে ভূক্তভোগীদেরকে প্রেরন করতো।
এভাবে তারা প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যমে ভূক্তভোগীদের নিকট হতে হাতিয়ে নেয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ০৫ টি ভূয়া নিয়োগপত্র, ০২ টি মোবাইল ও ০৩ টি সীম উদ্ধার করা হয়।
এ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে এলাকার অনেক জনসাধারণ নিঃস্ব হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা তাদের টাকা চাইতে গেলে প্রতারক চক্র তাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। প্রতারক চক্রটি টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারের ও উক্ত বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন আছে।