নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ আমরা আসলে কি মুক্ত? আজ বুধবার (০৩ মে ২০২৩) তারিখ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। কালো আইন নিপাত যাক গনমাধ্যম মুক্তিপাক। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সকল প্রকার মানবাধিকারের চালিকাশক্তি”। আমাদের সব স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হয়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের সাংবাদিকরা পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী- ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা দিবসটি পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এ দিবসটিতে। আজ ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই দিবসটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। স্বেচ্ছায় শৃঙ্খলিত কাউকে স্বাধীনতা দিয়ে লাভ কি?আমাদের গণমাধ্যম স্বেচ্ছায় শৃঙ্খল পরে নিয়েছে। আর কিছু গণমাধ্যমের ভোকাল কড কেটে দিয়ে বলা হয়েছে, যত পার কথা বলো, তোমাদের স্বাধীনতা দিলাম। কথা না বলতে পারার যন্ত্রণা ভয়াবহ, কথা বলে মামলা হামলার শিকার হওয়া আরো ভয়াবহ।
তবুও কোন এক সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা করি, বাস্তবেই সেদিন যেন ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ এর তাৎপর্য খুঁজে পাই। যদিও এ দিবসটি মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে গুটা বিশ্ব। কিন্তু আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের কালো থাবা থেকে বাঁচতে পারছে না গণমাধ্যমকর্মীরা। এই আইনটি সাংবাদিকদের হেনস্তা, দমন ও গ্রেফতারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাংবাদিক নির্যাতন, হেনস্তা, দমন ও গ্রেফতার বন্ধ করে এ কালো আইন বাতিলের দাবি জানাই।