গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃসাঁওতালসহ জাতিগত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার অঙ্গীকারে সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা করেছে সাঁওতালরা। অবলম্বনের আয়োজনে ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ প্রোগ্রাম, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় শনিবার ঘোড়াঘাট উপজেলার কালুপাড়া মাঠে আদিবাসী নেতা মাথিয়াস মার্ডির সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। শতাধিক নারী পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সকল কর্মসূচিতে অংশ নেন। ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আদিবাসী সাঁওতালদের ৪টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, আদিবাসী নেত্রী রোজলিন সরেন, মানবাধিকার কর্মী ওমর হাবীব বাদশা, এ.কে.এম মনির সুইট প্রমুখ।
বক্তরা আরো বলেন, সমতলের আদিবাসীরা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। ‘‘শুধু আদিবাসীই বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাঁদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী৷ অধিকাংশই ভূমিহীন, তাঁদের হাতে ভূমি নেই৷ আদিবাসীরা জাতীয়তাবাদী ঘৃণার শিকার৷ ১৯৭১ সালের আগে আমরা যেমন পাকিস্তানিদের ঘৃণার শিকার হয়েছি, তেমনি আমরা এখন আদিবাসীদের ঘৃণা করছি৷ আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী মন্ত্রণালয়ের দাবী করেন। ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে আদিবাসীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান।