শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদগঞ্জে দিনব্যাপী সাদাকাহ, কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া মাহফিল বগুড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জাগপার দোয়া মাহফিল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত শাহজাদপুরে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ৪ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বিজয়নগর সিংগারবিল এলাকায় বিজিবির অভিযানে ৫৫ লাখ টাকার ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস জব্দ নওগাঁয় ডিবির অভিযানে চার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঝিনাইদহে নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে শিশু সাবা’র লাশ উদ্ধার, প্রতিবেশী শান্তনা আটক গোমস্তাপুরে নিউ রফিক অটো রাইস মিলের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ফতুল্লায় পরকীয়ার জেরে সুমন খলিফা হত্যা : ২৪ ঘণ্টায় রহস্য উদ্ঘাটন, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ঝিনাইদহে শিশু নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার, আটক ১ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আমিনুল হকের দোয়ানুষ্ঠান ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী মুরাদ হত্যা মামলার আসামী বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রেজওয়ানা নাহিদ আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিরপুরে যুবদল কর্তৃক দোয়ার আয়োজন আটঘরিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফিল্ড কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C.)–এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক জনাব খান সেলিম রহমান–এর শ্বশুর মোঃ ইসমাইল মিয়া গুরুতর অসুস্থ আরএমপি রেশন স্টোরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ঠিকাদারদের ভোগান্তি, তদন্তের আশ্বাস সোনারগাঁওয়ে এক গরু ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা এবং ৭ লাখ টাকা ছিনতাই

তাজরীন ট্রাজেডির ১১ বছর আজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩০১ বার পঠিত

মোঃ সোহেল রানা: আশুলিয়ার তাজরীন ট্রাজেডির ১১ বছর পূর্তি হলো আজ কিন্তু শেষ হয়নি নিহতের পরিবারের আহাজারি ও আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবার আকুতি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সামান্য সহযোগিতায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আতঙ্ক কাটেনি শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া শ্রমিকদের। অনেকটা অবহেলার মধ্য দিয়ে এখন তারা দূর্বিষহ জীবন পার করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে পোশাক তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ডে একসঙ্গে এত শ্রমিক হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম। যে কারণে এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক পালনের পাশাপাশি সারা দেশের পোশাক কারখানা গুলোকে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
২০১২ সালে ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেড এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। এ ঘটনায় ১১৩ জন শ্রমিক জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরও অন্তত শতাধিক। যদিও নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কারখানাটিতে ১ হাজার ১৬৩ শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে পুড়েছে কারখানার সকল মালামাল ও সম্পূর্ণ ভবনটি। সেই পুড়ে যাওয়ার ছাপ এখনো ভবনের চার পাশে লেগে আছে। সেদিনের পর থেকে ভবনটির কর্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে গেলেও পুড়ে যাওয়া ৮ তলা ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে দাড়িয়ে আছে। ভবনটি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাররা সহ ভবনের আশে পাশের বাড়িওয়ালারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পুরে যাওয়া ভবনটির সামেন গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির প্রধান গেটে তালা ঝুলানো। এখানো ভবনটির প্রত্যেক জানালায় আগুনের ছাপ লেগে আছে। অন্যদিকে ২৪ নভেম্বরের এই দিনটিকে ঘিরে ভবনটির গেটে বিভিন্ন ধরণের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সময় আশপাশের বাড়ির টিন সেড ঘরের প্রায় ১৫ টির রুম পুড়ে গেছে। তারা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। তাই তাদের দাবি এই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হোক।
এ ভবনটি নিয়ে আতঙ্কে দিন পাড় করা ওষুধ ব্যবসায়ী হৃদয় বলেন, কারো যদি মেরুদন্ড ভেঙে যায় তাহলে কি সে দাড়াতে পারে? পারে না। আমি মনে কি এই ভবনটির মেরুদন্ড ভেঙে গেছে। এই ভবনের কারণে আরও দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা উচিত।
তাজরীনের আগুনে পুড়ে যাওয়া আহত শ্রমিক রেহেনা আক্তার বলেন, আমি একজন তাজরীনের অসুস্থ শ্রমিক। আমার মেরু দন্ডের হার ভাঙ্গা। আমি কোনো কাজ-কাম করতে পারি না। আমি বর্তমানে ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। আমার ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাইতে পারছি না। অন্য কোথাও চাকরিও হচ্ছে না। আমরা আহত তাই কেউ চাকরিতে নেই না। আমার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়। তাই আমার দাবি চিকিৎসা দিলে ভালো মত দেওয়া হোক। সেই সাথে সরকারের কাছে আবেদন আমাদের দ্রুত ক্ষতি পুরণটা দেওয়া হোক।
নাসিমা আক্তার নামের আরেক আহত শ্রমিক বলেন, আমার মেরুদন্ডের হার ভাঙ্গা। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন পঙ্গুত্ব নিয়ে বাঁচতে হবে। বর্তমানে আমি একটি ঝুটের গোডাউনে দিনে ২০০ টাকা রোজে কাজ করি। সেখানে যেতে আমি বাধ্য হয়েছি। কারণ অন্য আমার চাকরি হচ্ছিল না। আমি অনেক ফ্যাক্টরির সামনে গিয়েছি। তাই আমার দাবি ন্যায্য ক্ষতি পুরণ ও দীর্ঘ মেয়াদী সুচিকিৎসার দেওয়া হোক। এ সময় তিনি প্রধান মন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলার পত্যায় ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা সরোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ অগ্নিকান্ডে পুরে যাওয়া ক্ষতি ভবনটি ভেঙে বা সংস্কার করে এখানে তাজরীনের আহত শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকদের পারিবারের বাসস্থান করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের এই দাবির কোনো প্রতিফলন দেখছি না। অন্যদিকে এই মামলার বিচার কার্য থেমে আছে, তারও কোনো অগ্রগতি দেখছি না।
অন্যদিকে ভয়াবহ ওই ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানার এসআই খায়রুল ইসলাম অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলা দায়েরের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বিচারকাজ। তবে রাষ্ট্র পক্ষ আশা করছে, খুব দ্রুতই শেষ হবে বিচারকাজ।
জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তাজরীন ফ্যাশন এর মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন তার মেয়ে তাজরীনের নামানুসারেই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991