শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে পিড়িঁতে বসে চুল কাটা বিলুপ্তির পথে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ২৪৬ বার পঠিত

গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটা সময় ছিল, যখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুল দাড়ি কাটতেন অসংখ্য নর সুন্দর কর্মী, এখন তেমন একটা দেখা মিলেনা সেই নরসুন্দর কর্মীদের। প্রতিটি বাজারে উন্নত মানের সেলুন ব্যবসা শুরু হবার কারনে, মানুষের মনে আধুনিকতার ছুয়া লাগার ফলশ্রুতিতে সেলুন গুলিতে উন্নত মানের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের কারনে বহুকালের ঐতিহ্যগত চুলকাটার কারিগরদের খুব কমই দেখা যায় মফস্বলে।
কেউ কেউ আবার পিড়িঁতে বসে চুল কাটতে লজ্জাবোধ করেন অথচ সেই ছোট বেলায় বাবার হাত ধরে কে না গিয়েছে নিকটতম হাটের পিড়িঁতে বসে চুলকাটা নরসুন্দরের কাছে?পঞ্চাশোর্ধ কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠের সাথে কথা বলছিলাম জানতে পারি তারা এখন ১৫ টাকায় কাটাতেন চুল, দাড়ি। একজন নরসুন্দরের সাথে কথা বলছিলাম তার বাড়ী দরবস্ত ইউনিয়নের বিছনানপুর গ্রামের আজমল মিয়া, তিনি ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন হাট বাজারে,গ্রামে গ্রামে ঘুরে নরসুন্দরের কাজ করে থাকেন। শুরুতে এক টাকার বিনিময় চুল আর পঁচিশ পয়সায় দাড়ি গোঁফ সাইজ করতেন,তখন ভালো আয় রোজগার হতো আর এখন বাজার মূল্য বাড়লেও সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত মনে বাড়ী ফিরেন সন্তোষজনক রোজগার হয়না।
কিন্তু তিনি বহু বছরের ঐতিহ্য টা ছাড়তে পারছেন না। তার মতে গ্রামে গঞ্জে কাজ করলে সকল বয়সের প্রিয় মানুষদের দেখা মিলে যা এই বৃদ্ধ বয়সে মনের প্রশান্তি আনে। উল্লেখ্য সুপারি গাছের খোলস দ্বারা তৈরি চমকপ্রদ সুন্দরের বহিঃপ্রকাশ তাদের যন্ত্রাংশ রাখার পাত্রটি একটি বাজারের ব্যাগে করে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991