শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
ঘোষনা
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ৯জনকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের অশিক্ষকসুলভ আচরণের প্রতিবাদ রংপুরে গংগাচড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ সিলেটের বারুদ’ নামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর আত্মপ্রকাশ সাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের আম বিনষ্ট কোটচাঁদপুরে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ৯ জনের মনোনয়ন জমা হলেও দেখানো হয়েছে ১৬ জনঃ সাতক্ষীরায় জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মে দিবস পালিত সুরমা নদীতে নৌ-পুলিশের হাতে আটক চার ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোমস্তাপুরে ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত 

করোনাকালীন ভাতা আত্মসাৎ এর অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৯০ বার পঠিত

 

জহিরুল হক জহির (স্টাফ রিপোর্টার):

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নার্সদের করোনাকালীন ফাইজার টিকা প্রদানে ১৪ টি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত নার্সদের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারীর ও নার্স সুপারভাইজার সালমা বেগমের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবায় যেসব নার্স এগিয়ে এসেছিলেন তাদের অনেকেই নিজেদেরকে বঞ্চিত মনে করছেন। সরকারের দেয়া করনাকালীন নার্সদের ভাতা সঠিকভাবে পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড ইউনিটে দায়িত্বপালনকারী নার্স ও ফাইজার টিকা করোনা ভ্যাকসিন মাঠ পর্যায়ে প্রদানের দায়িত্বে থাকা নার্সরা। অথচ সরকারিভাবে মাঠ পর্যায়ে টিকা প্রদান কারি ৭ জন নার্সকে গত পহেলা সেপ্টেম্বর তাদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছে। অথচ নার্স সুপারভাইজার সালমা আক্তার ও কর্মকর্তা ডা.শংকর কুমার প্রসাদ অধিকারী ঐ ভাতার টাকা যাহাদের ব্যাংক একাউন্টে এসেছে তাদের মাধ্যমে টাকা উত্তরণ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর নার্স সুপারভাইজার সালমা আক্তারের কাছে জমা রাখেন। ওই টাকা আত্মসাৎ এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘদিন পর গত ২৭ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে সুপারভাইজার সালমার অফিস কক্ষে ফাইজার ও করোনা টিকা কার্যক্রমে জড়িত না থাকা নার্স ও স্টাফদের ৩২ জনের একটি তালিকা দেখিয়ে ওই টাকা বন্টন করেন। এমন ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নার্সদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রমে থাকা কয়েকজন নার্সদের সাথে কথা হলে জানান, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে বাসায় রেখে বিভিন্ন ইউনিয়নের দূরদূরান্তে করোনাটিক প্রদান করেছি। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন করলেও কর্মকর্তা ও নার্স সুপারভাইজারের স্বেচ্ছাচারিতায় আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। চাকরির ভয়ে অনেকেই মুখ খেলছে না। তাই আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। তাহারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ওই টাকা বন্টন করেছে।

এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারীর বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে উপজেলার ৮৪টি সাব-ব্লক মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের জন্য ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা ভাতা বাবদ সরকারি বরাদ্দ আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানেও মাঠকর্মীদের বরাদ্দের টাকার ২৫ শতাংশ কর্তন করে মাঠকর্মীদের মধ্যে বণ্টন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী।

কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ একের পর এক দুর্নীতি করে গেলেও চাকরির ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না কেউ। মেডিকেলে কর্মরত ভুক্তভোগীরা জানান, লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলেও যেন দেখার কেউ নেই। এ টাকা আত্মসাতের বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শংকর প্রসাদ অধিকারী মাতৃজগতকে জানান, ৭ জন নার্সের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে যে টাকা আসছে সেটা তাদের। আমি কাউকে ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে সবার মাঝে বন্টন করতে বলিনি। তবে এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন ইপিআই টেকনোলেজিস্ট হাসান মোরশেদ।

অপরদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নার্স সুপারভাইজার সালমা বেগম মাতৃজগতকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শংকর প্রসাদ অধিকারীর নির্দেশেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নার্স স্টাফ সহ ৩২ জনের একটি তালিকা করে তাদের টাকা দেয়া হয়েছে। তালিক চাইলে তিনি তালিকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন। এমন ঘটনায় কর্তা ও নার্স সুপারভাইজার একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার বক্তব্যে সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলে টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়।

আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ইপিআই টেকনোলেজিস্ট হাসান মোরশেদকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নার্সিং অধিদপ্তরের( উপসচিপ) মো: নাসির উদ্দিন জানান, সরকার নার্সদের জন্য যে করোনা ভাতা তাদের ব্যাংক একাউন্টে দিয়েছে সেই টাকা শুধুই তাদের। যদি কেউ ওই টাকা আত্মসাৎ করে থাকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991