বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
সাতক্ষীরায় জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মে দিবস পালিত সুরমা নদীতে নৌ-পুলিশের হাতে আটক চার ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গোমস্তাপুরে ১লা মে মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে, সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান। বোরো ধান কর্তন উৎসবের উদ্বোধন দেশজুড়ে বৃষ্টির সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা সিরাজগঞ্জে জাটকা ইলিশমাছ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

সিরাজগঞ্জে জমিজমা বিরোধে সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল করিম খান
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মুগবেলাই গ্রামের মৃত বাবা-মায়ের সম্পত্তি থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াকে (৫৮) বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে মেজো ভাই রেজাউল হক মিয়ার (৬৬) বিরুদ্ধে। 

রেজাউল হক মিয়া ওই উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে রেজাউল হক পৈতৃক সম্পত্তি নিজের কব্জায় রেখে উল্টো ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে সাজানো ছয়টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। 

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ শহরের দৈনিক কলম সৈনিক কার্যালয়ের মিডিয়া কনফারেন্স রুমে   এক সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন  ও তার স্ত্রী মোছাঃ তাছলিমা খাতুন এ অভিযোগ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার বাবা আবুল হোসেন মিয়া ১৯৮১ এবং মা ২০০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমি তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট। পরবর্তী ২০০৩ সালে বড় ভাই শামছুল আলমও মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মেজো ভাই রেজাউল হক বাবার ৩ বিঘা ২৯’শতক জমি ও মায়ের নামে ৩১ বিঘা ২৯ শতক জমি দেখভাল করছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালের দিকে আমি ওয়ারিশ হিসেবে জমি বন্টন করতে চাইলে আমার সাথে তিনি বিরোধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সে তার স্বার্থ হাসিল করতে আমাকে এবং  আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একে একে ছয়টি   মামলা দায়ের  করে। জমির ভাগ চাওয়ায় প্রথমে ২০০৮ সালের দিকে দেড় কোটি টাকা দাবি করে  মামলা দায়ের করে। 

মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী মা-বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে আমরা ওই সম্পত্তির দাবীদার ও হকদার। কিন্তু সে সম্পত্তির লোভে পড়ে আমার প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝে না দিয়ে উলটো ছয়টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। 

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী তাছলিমা খাতুন সুনামের সাথে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছি। আমাদের দীর্ঘদিনের জমিজমার এ  বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব  অ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান সাহেব , কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম  শহিদুল্লাহ সবুজ৷ সাহেব এবং   সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এবং সম্পাদকের নিকট দারস্ত হই তারা একাধিকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও মেজো ভাই  তাদের মানেনি  কোন সুরাহা হয়নি  পরবর্তী কোন সমাধান না পেয়ে  আমাদের নিকট আত্নীয় সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সাহেবের নিকট সরাপন্ন হই। 

 তিনি ঘটানাটি  বিস্তারিত শুনে দীর্ঘদিনের এ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। সেই প্রেক্ষিতে গত শনিবার দুপুরের দিকে কবির বিন আনোয়ার আমাদের বাড়িতে যান। এরপর উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে দুই ভাইয়ের মধ্যে যেন সু-সম্পর্ক বজায় থাকে এ জন্য আমাকে দিয়ে মেজো ভাইয়ের কাছে মাফ নেয়ান। কিন্তু বিরোধটি যেন সমাধান না হয় এ জন্য ভাই  উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে কবির বিন আনোয়ার অসন্তষ্ট হয়ে চলে যান। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় মেজো ভাই আবারও উল্টো মিথ্যা অভিযোগ করে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এতে বলা হয় তাকে নাকি আমরা মারধর করেছি। মূলতঃ ওই বৈঠকে কবির বিন আনোয়ার সাহেব আমাদের  দুই ভাইকে আপস হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। ওইসময়ে  কাউকে মারধর করা হয়নি এটা সম্পন্ন মিথ্যা কথা। 

এদিকে অভিযুক্ত রেজাউল হক মিয়া বলেন, আমি ১৯৭৭ হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মায়ের নামের জমি ক্রয় বাবদে জার্মান থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা পাঠিয়েছি। ওই টাকা দিয়েই মূলত মায়ের নামের জমি গুলো ক্রয় করা হয়। এ জন্য ওই জমি আমার। এখানে ছোট ভাইয়ের কোনো প্রাপ্যতা নেই। ছোট ভাইয়ের দাবি অযৌক্তিক। পিতা মাতার মালিকানা জমি তো প্রত্যেক ভাই ও বোন পাবে, এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব দেননি। 

কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন- তাদের দুই ভাইয়ের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ জন্য আমি নিজেও বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আপ্রাণ  চেষ্টা করেছি কিন্তু রেজাউল হক কারও কথা না  শোনায় নিষ্পত্তি হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার  বলেন, উভয় আমার আত্মীয় তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। দুই ভাইয়ের মধ্যে কয়েকটি মামলা মোকদ্দমাও চলছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগীর পক্ষে স্থানীয় শিক্ষকরা মানববন্ধনও করেছিল। এ জন্য আমি ভাবছিলাম বসে মীমাংসা করি। পরে রেজাউল হকের সাথে ফোনে কথা বলে নিজে দাওয়াত করায়   তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিষ্পত্তি চাইলেও রেজাউল চায় না। পরে আমি তাদের অনুরোধ করে এসেছি নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করার জন্য ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991