নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্নীতি শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে কারা কতৃপক্ষ কর্মকর্তারা।নিম্ন থেকে ঊর্ধ্বতন কিছু অসাধু কর্মকর্তারা মূলত এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব কারা কতৃপক্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য। যখন রক্ষকই ভক্ষক হয় তখন দুর্নীতির ও অনিয়মের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। শুধু কারারক্ষী নয় এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত আছে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত কয়েদীরা দীর্ঘদিন যাবত সাজা ভোগ করার কারনে তাদের সিও ম্যাটের উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
তখন তাদের কারাগারের বড় বড় জায়গায় দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে নিতে থাকেন শুবিধা সেই থেকে শুরু হয় তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম। কিছু অসাধু কারারক্ষীর সহায়তায় টাকার বিনিময়ে তারা এমন কোন অপরাধমূলক কাজ নাই যে কারাগারে করে থাকে না। যেমন মাদক বাণিজ্য, বেড বাণিজ্য, আসামীদের মাঝে অর্থের বিনিময়ে খাবার বিক্রি,সাধারণ হাজতে আসামীদের সাথে খারাপ আচরণ এদের মধ্যে অন্যতম হলো সিও ম্যাট দুলাল, আলমগীর, রেজাউল, সাবেক মেডিকেল রাইটার শামীম, রবিউল, ও গোদাগাড়ী শিষ্য হেরইন ব্যবসায়ী ফাইজুল ওরফে ফয়সাল।
কারাগারের মেডিকেলে ওষুধ বাণিজ্য থেকে শুরু করে ইয়াবা, হিরোইন, গাঁজাসহ নগদ টাকায় সিগারেট বিক্রি বেড বাণিজ্য সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত এসব সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা ও কতিপয় কারারক্ষী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামিনে মুক্তি প্রাপ্ত দুজন হাজতীবন্দী আমাদের জানাই যে যতদিন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফাইজুল ওরফে ফয়সাল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার অবস্থান করবে ততদিন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকের ভয়াবহতা থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না কারন এই ফায়সালের সাথে কিছু অসাধু কারা কর্মকর্তা ও কারা রক্ষীরা জড়িত। তারাই মূলত ফয়সালকে মাদক সরবরাহ করে থাকে। তাদের কাছ থেকে মাদক ক্রয় করে ফয়সাল তার আস্থাভাজন কিছু বন্দীেদের জেলখানায় মাদক বিক্রি করে থাকে।
“ইতি পৃর্বে কারাগারে তদন্ত শেষে কমিটি ৪৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- সুস্থ বন্দীদের টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ভর্তি, সাক্ষাত ও জামিন বাণিজ্য। যেসব কমকর্তার বিরুদ্ধে কমিটি প্রমাণ পায় তারা হলেন- রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন আলতাফ হোসেন, সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন, জেলার হাবিবুর, ডেপুটি জেলার সাইফুলসহ ৮৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী”।
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কিভাবে এসব মাদক কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য যোগদান কৃত জেলার নিজাম উদ্দিন জানান আমি বিষয় টা তদন্ত সাপেক্ষে দেখব।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। পর্ব-১