মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বন্যাদুর্গত এলাকায় বিএনপির সর্বাত্মক ত্রাণ কার্যক্রম চলছে: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উত্তরা টাউন কলেজ গভর্ণিং বডির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রফেসর ড. মো. রাফিউদ্দীন আহমেদ বসুন্ধরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে পদ্মার কাশবন থেকে ২টি শটগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ সাতক্ষীরা বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার্থীদের চাকরির খতিয়ান পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত  এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকন আর নেই

অযত্নে-অবহেলায় হারিয়েছি কুয়াকাটা ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান কুয়াকাটা।

ইলিয়াস শেখ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৫০ বার পঠিত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লিলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। সৈকতের কোল ঘেষে রয়েছিলো বিশাল বনাঞ্চল। প্রকৃতির অপার দান সৌন্দর্য্যরে সাথে যুক্ত হয়েছিলো বনপ্রেমী ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান। যার বদৌলতে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা আরো বাড়তি সাজে সজ্জিত হয়েছিলো।এ নারিকেল বাগানটির প্রতি ছিল দর্শনার্থীদের এক অন্যরকম আকর্ষণ। সুশীতল দক্ষিণা বাতাস পর্যটকদের মনে এনেছে আলাদা আমেজ। গাড়ি পার্কিং, পিকনিক স্পট, পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র ছিল এ বাগানটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাগানটি আজ বিলুপ্ত প্রায়। বৃক্ষপ্রেমি ফয়েজ মিয়ার শখের বাগানটির অবশিষ্টাংশ আজ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

এর কারণ হলো অযত্ন-অবহেলা, ধীরে ধীরে সমুদ্রগর্ভে চলে যাচ্ছে কুয়াকাটার সৌন্দর্য ইতিমধ্যেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি নারিকেল বাগান সহ অপরূপের সবুজ বেষ্টনী।

সব হারিয়ে এরপরও সুন্দরের লীলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা নববধূর মত সাজানো দেখাচ্ছে, আর বলছে আমার এই রূপ কে ধরে রাখতে গভীর সমুদ্রের ভাঙ্গন থেকে আমাকে রক্ষা করো।

সমুদ্র সৈকতের কোল ঘেঁষে পশ্চিমে কুয়াকাটা থেকে লেম্বুর বন পর্যন্ত কাঁচা বেরিবাধ সড়ক রয়েছে সমুদ্র সৈকত ভাঙ্গন রক্ষায় ক্ষেত্রে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান (CICO) চায়না প্রজেক্ট, তবে কবে কখন এ কাজ সম্পন্ন হবে সমুদ্রের ভাঙ্গনের সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকবে সৈকত এটা নিয়ে আতঙ্ক স্থানীয় সহ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। অনেকে ধারণা করছেন,এই মৌসুমের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে পরবর্তীতে আবারো ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হারাতে পারে স্বপ্নের ভিটামাটি অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য কুয়াকাটা।
তাই বর্ষাকাল ও সাগরের গর্জন বেড়ে যাওয়ার আগে, অতি দ্রুত ভাঙ্গন রক্ষার কাজ করার জন্য আহ্বান জানায় এলাকাবাসী।

ডাক্তার মো: ইসমাইল ইমন বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে জোয়ারের পানি অস্বভাবিক বৃদ্ধির পায়। ফলে প্রচন্ড ঢেউয়ের ঝাপটায় বালুক্ষয়ে ছোট হচ্ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার মানচিত্র। রাতারাতি পাল্টে যাচ্ছে তীরঘেষা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চিত্র। এভাবে অব্যাহত বালুক্ষয় হতে থাকলে আগামী দুই-তিন বছরে মুছে যাবে ফয়েজ মিয়ার বাগানের নাম ঠিকানা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভূমি অফিসের ম্যাপে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে লেখা দেখতে পাবে। আর লোকমুখে গল্প শুনবে এমনটাই বললেন এ অঞ্চলের জ্ঞানী জন।

একই সময় পর্যটন ব্যবসায়ী,মো: মাসুম আল বেলাল বলেন, যতটুকু বাগান আছে, এভাবে অরক্ষিত থাকলে এবং বালুক্ষয় রোধ করা না হলে বাগান থাকবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বাগানের গল্প মনে হবে রূপ কথার গল্পের মতো।

নববধূর সাজে কুয়াকাটার রঙিন স্বপ্নকে ধরে রাখতে ২০২২ সালের মধ্য অতি দ্রুত বেরিবাদের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি, দেশের একটি ব্যাপক সম্ভবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রক্ষা করতে হলে বালুক্ষয় রোধের উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট বা সরকারকে’। আর এক্ষেত্রে একটি গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করতে পারলে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রক্ষা করা সম্ভব বলে দিয়েছেন অভিজ্ঞমহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991