সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান দেশে ফিরে নেতৃত্ব দিবেন – মোস্তফা জামান রাজশাহী জেলা শ্রেষ্ঠ ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন সাহিত্য হোক সার্বজনীন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে বাঁচতে নিরীহ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন সুবিদপুর শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন সংঘের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ সোনারগাঁ থানা শাখার নতুন কমেটি গঠন ক্ষতিগ্রস্তদের রিকশা ও নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান: বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় – আমিনুল হক সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ওপর হামলাকারী মামুন বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন পটুয়াখালীতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চোরের হুমকি পাঁচ দিন পর এসে তোদের দেখে নেব   

আগামী ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া সাখওয়াত হোসেনের জন্মদিন থাকবে মানুষের অন্তরে।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৬৮ বার পঠিত
মোঃ পায়েল মিয়া  স্টাপ রিপোর্টারঃ বেগম রোকেয়া মুসলিম নারী জাগরণের পথিকৃত, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন। উনবিংশশতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে বেগম রোকেয়া সাখওয়াত অনন্য নারী ব্যক্তিত্ব। বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবেগণ্য করা হয় তাকে।১৮৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ নামে পরিচিত হন। তারস্বামী মুক্তমনা মানুষ ছিলেন। রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরুকরেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্পের মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যজগতে পদার্পণ করেন। ১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। এর পাঁচ মাস পর রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন ভাগলপুরে। ১৯১০ সালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার ফলে স্কুল বন্ধ করে তিনি কলকাতায় চলে যান। এখানে ১৯১১ সালের ১৫ মার্চ তিনিসাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল পুনরায় চালু করেন। প্রাথমিক অবস্থায়ছাত্রী ছিল ৮ জন। চার বছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪-তে। ১৯৩০ সালের মাঝে এটি হাইস্কুলে পরিণত হয়। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্কুল পরিচালনা ওসাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ওসামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদেরসংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তারবক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা সুলতানার স্বপ্ন।এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তার অন্যান্যগ্রন্থগুলো হলো পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর। তার প্রবন্ধ গল্প, উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনি নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গ সমতার পক্ষে যুক্তিতুলে ধরেছেন। আজ সারা বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে ওঠেছে যেখানে লক্ষ্য লক্ষ্য শিক্ষা বঞ্চিত মানুষ গুলো শিক্ষা গ্রহন করতেছে। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র:নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতি রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১ জুলাই, ২০০১ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়ার নিজ বাড়ী সংলগ্ন ৩.১৫ একর ভূমিতে ‌বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ।নির্মিত অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে মুলভবন ১৪,৭১০ বর্গফুট, ২৫০ আসনের সুসজ্জিত মিলনায়তন (শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ), ১০০ আসনের সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ, ৫০ জন পাঠকের পাঠ সুবিধাসহ ১০ হাজার গ্রন্থের ধারণ ক্ষমতা সুসজ্জিত গ্রন্থাগার এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ গবেষণা কক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991