বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭টি অবৈধ ড্রাম চিমনী ইটভাটায় অর্থদন্ড ও চিমনি ভেঙ্গে ভাটা বন্ধের ২দিন পরে পুনঃরায় ওই ভাটাগুলো চালু করেছে ইটভাটার মালিকরা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীরা দ্রæত স্থায়ীভাবে ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
আমতলী উপজেলার ৭টি অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটা এডিবি ব্রিকস, মৃধা ব্রিকস, ফাইভ স্টার ব্রিকস, এমকেএস ব্রিকস, এইচআরটি ব্রিকস, এসএসবি ব্রিকস ও এমসিকে ব্রিকসে কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে ইট পুড়ে আসছে। গত রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হি ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন হক ওই ইট ভাটায় অভিযান চালায়। ওই সময় তিনি প্রতিটি ভাটাকে ২ লক্ষ করে মোট ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করে ভাটাগুলোর ড্রাম চিমনি ভেঙ্গে ইট পোড়ানো বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এর ২দিন পরে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড ও বন্ধের নির্দেশনা অমান্য করে ভাটা মালিকরা পুনঃরায় ইট পোড়ানো শুরু করে। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রæত স্থায়ীভাবে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভাটা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার অযুহাতে বন্ধ ড্রাম চিমনি ইটভাটার মালিকরা পুনঃরায় তাদের ইটভাটা চালু করে ভাঙ্গা চিমনিতেই ইট পোড়াচ্ছেন।
মৃধা ইটভাটার ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ভাটা শ্রমিকদের বেতন দিতেই আবার তারা ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু করেছেন। তবে তারা দ্রæত ইটভাটা বন্ধ করে দেবেন বলে জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন এলাকাবাসী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ইটভাটা বন্ধ ও জরিমানা করে ড্রাম চিমনি ভেঙ্গে চলে যাওয়ার ২ দিন পরেই ইটভাটার মালিকরা পুনঃরায় ভাঙ্গা চিমনি দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন। তারা আরো বলেন, মনে হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটের চেয়েও ইট ভাটার মালিকরা অনেক শক্তিশালী। নইলে কিভাবে বন্ধ ইটভাটায় আবার ইট পোড়ানো শুরু হলো। তারা দ্রæত স্থায়ীভাবে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম মুঠোফোনে বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে ৭টি ড্রাম চিমনি ইটভাটায় জরিমানা ও চিমনি ভেঙ্গে তা বন্ধ করে দিয়েছে। পুনঃরায় চালু করলে আবারো তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।