গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ লম্পট দাদার লালসার শিকার হয়ে ১৩ বছরের কুমারী নাতনির পেট থেকে ভুমিষ্ট হয়েছে মৃত্য ফুট ফুটে এক পুত্র সন্তান। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পৃথীবির আলো বাতাস দেখার আগেই তাকে যেতে হলো হাসপাতালের মর্গে।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বোয়ালী দহ গ্রামের আঃ সামাদ বয়স (৭৫)। ভিকটিম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা জায় ঐ গ্রামের জনৈক্য ব্যাক্তির মা হারা অসহায় ১৩ বছরের মেয়েটি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে বাবা বিয়ে করে সৎ মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকে, সুযোগ সন্ধ্যানী দাদা সম্পর্কীয় সামাদ তাকে দিয়ে বাড়ীর সাংসারিক কাজ কর্ম করে নিতেন। এক পর্যায়ে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নাতনির দিকে ফাঁকা বাড়ী পেয়ে তাকে জীবন নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষন করেছে বলে জানিয়েছের ঐ ভুক্তভোগী নাতনী।
অসহায় তরুনী গতকাল মঙ্গলবার(৩০ মে) রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের জন্ম হলে রাতেই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের আপন দাদী পারুল বেগম বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই নারী লোভী দাদা সামাদকে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই জিয়াউল হক মামুন সংঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
৭ মাসের মৃত্য সন্তানের পাশে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে নিজ বাড়ীতেই চোখের জল ফেলছে কুমারী ঐ মা। পাপ কে ঘৃনা করো পাপী কে নয়। এ দুঃসময়ে পাশে নেই তার মা বাবা তারা ঢাকায় থাকে অযত্ন অবহেলায় আতুর ঘরে বসে বসে মৃত্য সন্তানের পাশে ৯ ঘন্টা যাবৎ কাদছে ভুক্তভোগী তরুনী।
এ দিকে বাহিরে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছে তার বাড়ীতে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই, জিয়াউল মামুন জানান, মুল আসামী কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম কে হাসপতালে আর মৃত নবজাতককে মর্গে।এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।