গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গণধর্ষনের সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানীর ঘটনায় মামলার বাদী এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরআগে তার বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
শনিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাহেনা বেগম (৫৫) নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে। ওই নারী উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর কালির খামার গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়,গ্রেফতারকৃত রাহেনা বেগম একই গ্রামের খোরশেদ আলম,খুসু মিয়া,আনারুল ইসলাম, লান্টু মিয়া,আমিনুল ইসলাম ফরহদ ইতি ও সাহাব উদ্দিনকে আসামি করে গণধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে গত বছরের ৩ মে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায় প্রধান আসামি খোরশেদ আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে খোরশেদ আলমসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাহেনা বেগমের আনীত ধর্ষনের অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরে আদালত ওই নারীর দায়ের করা মামলা থেকে আসামিদেরকে অব্যহতি প্রদান করেন। সেই সাথে ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করে আসামিদেরকে হয়রানি করায় ওই নারীর বিরুদ্ধে একই আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল খোরশেদ আলম বাদি হয়ে গণধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ মানুসিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন এবং সম্মানক্ষুন্ন করায় রাহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমএ আজিজ বলেন, ‘রাহেনা বেগমের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শেষে সত্যতা না পাওয়ায় আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা দাখিল করায় আসামিদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং ওই মামলার বাদী রাহেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘গণধর্ষণের মিথ্যা মামলার ওই বাদিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’