গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়ির পাশে নেশাখোরদের নিয়মিত আসর বন্ধে নিষেধ করায় হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাড়ি-ঘরের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির পাশাপাশি মারপিটে দুই জন আহত এবং অপর দুইজনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। আহতরা হলেন আবুল খায়ের (৫৫), স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫০) এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় মেয়ে হেলেনা বেগম ও অভিযোগ দায়েরকারীর স্ত্রী শারমিন বেগমের।
বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের রাজস গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় হাবিজার, ছামছুল, এহিয়া, জেল্লাল, জিল্লু, জাহাঙ্গীর, আবু তাহের, নওফেল, ফেদ্দা, করিম, রতন, রানা, রাজিয়া, আনিসুর, সুইটি তারেক, সজিব, রবিউল, আ. হামিদ, রেবেকা, রেজিনা ও মেহেদীকে আসামী করে আবুল কালামের পুত্র আল-আমিন সরকার বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার নেশাখোরদের এহেন কর্মকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগ ও সরেজমিনে তথ্য সূত্রে জানা যায়, আহতদের বাড়ির পাশে প্রতিদিন স্থানীয়দের সাথে অপরিচিত যুবকরা এসে নেশা সেবনের পর দীর্ঘ সময় আড্ডা দিত। এমন ঘটনায় তাদের মৌখিকভাবে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সপ্তাহ দুয়েক আগে অভিযুক্ত আ. হামিদ ও মেহেদীর সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। সেই জেরে বুধবার সন্ধ্যায় তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলার উদ্দেশ্যে একই স্থানে এসে নেশা ও আড্ডা জমায়। নিষেধ করামাত্র তারা বসতবাড়িতে হামলা ও আহত ব্যক্তিদের মারপিট শুরু করে। পরে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে অপর দুই জনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাসহ তাদের গগনা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আহতদের গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
খবর পেয়ে বৈরাগীর হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপ-পরিদর্শক জিয়াসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে