গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে দুশাসন হঠাও, ব্যবস্থা বদলাও, বিকল্প গড়ো এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদির দাম তিনগুণ বৃদ্ধি ও সারাদেশে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার বিকাল ৫টায় পলাশবাড়ী চৌমাথায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়াও যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
পথ সভায় বক্তব্য রাখেন,সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক জননেতা মিহির ঘোষ,সিপিবি পলাশবাড়ী উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান খান সুজন,ক্ষেতমজুর নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী একরামুল হোসেন বাদল,সিপিবি নেতা ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাষ্টার,ছাত্র ইউনিয়ান গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ওয়ারেছ সরকার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকেই সিপিবি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ চলমান। ওয়াসা যদি তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তবে শিগগিরই ওয়াসা ভবন ঘেরাও করে তাদের এমডি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, মহামারি কাটিয়ে সাধারণ মানুষ এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমন সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি অযৌক্তিক। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু ব্যক্তি ও অসাধু শ্রেণির ব্যবসায়ীদের হীন কর্মকান্ডের জন্য দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সরকারকে বিষয়গুলো দায়িত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, চাল ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য প্রত্যাশা করে, ঠিক তখন সরকারের কিছু মন্ত্রী অদায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। তাদের বলা কথা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করা হয়। সাধারন মানুষ এ সরকারের কাছে এসব হাস্যকর কর্মকান্ড প্রত্যাশা করে না।
দ্রুত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি করে বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় এনেছি। এর পেছনে গণমানুষের স্বার্থের পক্ষে অনেক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, আজ যা উপেক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী আমলাদের ওপর ভরসা না করে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশা করি।