গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর চলতি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে মুখিকচু ও পানিকচু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আশা করছেন কচু চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে কৃষকরা এবার মুখিকচু ও পানিকচু ২০০ হেক্টর জমিতে বিলাসী, লতিরাজ ও সিলেটি জাতের কচু চাষ করেছেন।চলতি মৌসুমে এ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের কচু চাষীরা বলছেন, কচু চাষে যেমন পরিশ্রম কম তেমনি রোগবালাই ও পোকামাকড়ের সংক্রমণ নেই। এতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় আগাম জাতের কচু চাষ করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। তাই আমরা আগাম জাতের কচু চাষ করেছি।
সরেমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের কচুচাষী মৃত বাবু মিয়ার ছেলে আয়তাল মিয়া ১০০ শতাংশ জমিতে সিলেটি জাতের কচু চাষ করেছেন। কচু রোপণ করার পর একবার চালা (নিড়ানি) দিয়েছি। এখন সার দেওয়ার পর আর একবার চালা দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, আমার ১০০ শতাংশ জমিতে সিলেটি জাতের কচু চাষে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হবে। কচু চাষ খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার কচু বিক্রি করতে পারব।
কিশোরগাড়ী ইউপির কচু চাষী গোফ্ফার মিয়া জানান, আমি ৩৩ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছি। চাষও অনেক ভালো হয়েছে। ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরে কচু উঠানো যাবে। বাজারে বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি, দামও ভালো পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, এবছর উপজেলায় ২শ’ হেক্টর জমিতে সিলেটি, লতিরাজ ও পানিকচুর চাষ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে কচু চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবছর কচু চাষ ভালো হয়েছে তবে ফসল ঘরে উঠানো পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবে আশা করছি।