গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আহম্মদ নগর এলাকায় দেড় মাস আটকে রেখে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে পোশাক কারখানা এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত ধর্ষকের নাম সাইফুল ইসলাম (৪০)।পাবনার সাথিয়া উপজেলার চকমধুপুর গ্রামের জনাব আলী সরকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় পোশাক কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।

ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় মাস আটকে রেখে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পোশাক কারখানা এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। আর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কারখানার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কালিয়াকৈর উপজেলার আহম্মদ নগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। দুই মাস আগে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এই সুযোগে ওই কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেড় মাস আগে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে ওই ফ্ল্যাটে কিশোরীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ওই কিশোরী পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে ভিডিও দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘরে আটকিয়ে রেখে দেড় মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছেন।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে ফ্ল্যাটের মূল দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ওই কিশোরী দৌড়ে বাইরে গিয়ে আশপাশের লোকজনদের বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান উদ-দৌলা জানান, ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন।