রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
ঘোষনা
শ্রীপুর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে আগুন মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্তে সভা অনুষ্ঠিত যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশে’র অভিযানে ৬০ বোতল ফেনসিডিলসহ ব্যবসায়ী আটক, প্রাইভেট কার জব্দ। কালীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত সোনারগাঁয়ে আ.লীগ নেতার বংশ উচ্ছেদের হুমকী, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ সিরাজগঞ্জে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ আটক ২ ; কাভার্ড ভ্যান জব্দ সোনারগাঁয়ে এমপি কায়সারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় মানব বন্ধন রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মূলহোতাসহ ১১ গ্রেপ্তার *বিএডিসি দত্তনগর কৃষি খামার যখন দুর্নীতির স্বর্গ স্থল* জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগর মতিহার থানা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিচারের দাবিতে ছেলের লাশ নিয়ে থানায় বাবা

আলমগীর হোসেন সাগর
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১২০ বার পঠিত

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক যুবককে চুরির অপবাদ দিয়ে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ছেলেকে বাঁচাতে না পেরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন এক বাবা।

 

গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে থেকে রানা মিয়াকে আটক করে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর কতেথাকে। পরে স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যৃ হয়।

 

নিহত যুবক রানা মিয়া (৩০) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করতেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী কেওয়া পশ্চিমখন্ড গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্বল মিয়া (২৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে ইমন (২৬)।

 

নিহত, অভিযুক্তদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিপন ভাঙারি ব্যবসা করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাঙারি সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হতো ১৫টি ভ্যানগাড়ি। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় শিপনের পাঁচটি ভ্যানগাড়ি চুরি হয়। শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ এনে রানাকে আটকে রাখে শিপন। পরে রাত থেকে দিনভর মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মারধরে তিনটি ভ্যানগাড়ি চুরির কথা স্বীকার করে রানা। পরে স্থানীয়রা রানাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। স্থানীয়দের অনুরোধ উপেক্ষা করে সবার সামনেই মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে তার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের হাত থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি বার বার আকুতি-মিনতি করলেও আমার ছেলেকে তারা ছাড়লো না। আমি তাদের পায়ে পর্যন্ত ধরেছি। তবুও তারা আমার কথা শুনিনি। সবশেষ আমার ছেলেকে মেরেই ফেলল। আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করে বুকের পাজর, দুই হাত ও পা ভেঙে দেয়। আমার ছেলের শরীরের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। বিচার চাইতে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে সরাসরি থানায় এসেছি।

 

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শিপনের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার মা রোকেয়া আক্তার বলেন, শিপন ব্যবসায়িক কাজে এলাকার বাইরে রয়েছে।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991