নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবের দায়িত্বে থাকা সারওয়ার আলমের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে লঘুদণ্ড হিসেবে ‘তিরস্কার’ করা হয়েছে।
এ কর্মকর্তাকে ‘লঘুদণ্ড’ হিসেবে এ সাজা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, সপ্তাহখানেক আগে ‘তিরস্কার দণ্ডের’ আদেশ হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, গত বছরের আট মার্চে সারওয়ার আলম ফেইবুকে চাকরি জীবনে ‘বঞ্চনার’ কথা লিখে পোস্ট দেন। পরে জুন মাসে তার বিরুদ্ধে ‘অকর্মকর্তাসুলভ’ আচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলায় শেষ পর্যন্ত তিরস্কার দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভাগীয় মামলায় এটা সর্বনিম্ন দণ্ড। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলেরও সুযোগ রয়েছে। এরপরে এটা বাতিলও হতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়ের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দাখিল না করায় এবং অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় সারওয়ার আলমের বিরুদ্ধে যে মন্তব্যের কারণে অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ এবং জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি তার ফেইবুক আইডিতে সে মন্তব্যটি করেছেন মর্মে স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত বছর সাত মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতি পাননি ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সারওয়ার আলম।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় চালু হচ্ছে না রেল চলাচল
পরদিন আট মার্চ ফেইবুকে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘চাকুরী জীবনে যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকুরী জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়।’
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় ভেজাল এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গণমাধ্যমে বেশ পরিচিতি পান মো. সারওয়ার আলম।