শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বানিয়াচংয়ে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক্যাম্পিং উদ্বোধন পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অবরুদ্ধ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতা এস.এম. বাবু মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মামলা ও জিডি করতে আর থানায় যেতে হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাঁচালং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে লাঞ্ছনা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নির্বাহী সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাবু

টাকা না পাওয়ায় বীর নিবাসের তালিকা পাঠাননি তালতলীর ইউএনও,অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের

সাইফুল্লাহ নাসির
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • ৩৩১ বার পঠিত

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনা তালতলীতে বীর নিবাস তৈরির জন্য অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চেয়েছেন সরকার। প্রতিটি উপজেলা থেকে এ তালিকা করার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়।তালতলীতে তালিকায় নাম দিতে হলে তিনি ২০ হাজার করে টাকা চেয়েছেন নাম প্রতি। টাকা না দেওয়াতে বীর নিবাসের তালিকা না পাঠানোর অভিযোগ তালতলীর ইউএনও’র বিরুদ্ধে । এছাড়াও ইউএনও’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাকে বয়কটের ঘোষণা দেন তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

মঙ্গলবা(০৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাবেক কমান্ডার মোসলেম আলী হাওলাদার।

জানাগেছে,২য় দ্বিতীয় পর্যায় সারাদেশের ন্যায়
তালতলী উপজেলা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস তৈরির জন্য তালিকার চাহিদা চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন কে চিঠি দেন। ওই চিঠির জেলা প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ২০ জানুয়ারি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারের ঘরের তালিকা করে পাঠানোর নির্দেশ দেন । কিন্তু চিঠি পেয়েই ইউএনও তালিকা করতে কাছে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। ইউএনওর দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি হয়নি মুক্তিযোদ্ধারা। এ কারনে গত ৩০ জানুয়ারী বীর নিবাসের তালিকার চাহিদা তৈরির সভা ডেকেও অজ্ঞাত কারনে সভা মুলতবি করেন তিনি। ঘুষের টাকা না পেয়ে ইউএনও মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাসের ঘর তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠায়নি বলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোসলেম আলী হাওলাদার। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানী, ব্যঙ্গ বিদ্রেুাপ ও বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ভবন সাজ সজ্জা না করে ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউএনও এমন অভিযোগও মুক্তিযোদ্ধাদের। তাছাড়াও এমন অসৌজন্যমুলক আচরনের কারনে গত সোমবার প্রশাসনের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন তারা। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ইউএনও’র বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান মুক্তিযোদ্ধারা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আজিজ আকন,বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার ফরাজী,হরিপদ সরকার,ইউনুস বিশ্বাসসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা এই অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষে নয় ইউএনও কাওসার হোসেন । তিনি তালতলীর সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করে থাকেন। সবাইকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে অসম্মান করেন। জাতীয় কোন দিবসে আমাদের নিম্নতম সম্মান টুকু দেওয়া হয়না। আমাদের বীর নিবাসের ঘর প্রতি ২০ টাকা দাবি করেন। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।

তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোঃ মোসলেম আলী হাওলাদার বলেন, তালতলীর মুক্তিযোদ্ধারা ইউএনও কাছে অসম্মানের পাত্রে পরিনত হয়েছে।ইউএনও মুক্তিযোদ্ধাদের অহরহ হয়রানী, ব্যঙ্গ ও বিদ্রোপ করে থাকেন। তিনি আরও বলেন,বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ভবনে সাজ সজ্জা না করেই ২০ হাজার টাকা ইউএনও আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও আমাদের বীর নিবাস ঘরের তালিকা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ইউ্ওনও এমন আচারনের সুরহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা তার সকল কার্যক্রম বয়কট করেছি। এবিষয়ে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, ইউএনও তালতলীতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরেছেন। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, ইউএনও উপজেলা প্রশাসনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ডিপিপিতে তালতলী উপজেলায় বীর নিবাসের ঘর বরাদ্দ নেই। তাই তালিকা করা হয়নি।তিনি আরও বলেন,১০ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিতে আমার কাছে আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।আমি ওই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,আমি এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি।অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991