আবু ইউসুফ সহ- বার্তা সম্পাদক জাতীয় মাতৃজগত পত্রিকাঃগাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলওয়ে স্টেশন, ৫০ কোটি টাকার উপর ব্যয়ে ,সৌন্দর্য, নির্মাণশৈলী ও আধুনিকতার ছোয়ায় দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে শুরু হয় এবং স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ১ নভেম্বর স্টেশনটি উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধনের ৪ বছরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি।
গাজীপুর ও সাভার (ডিইপিজেট) শিল্প অঞ্চল কাছাকাছি থাকায় উক্ত স্টেশনটি ১০ থেকে ১৫ হাজার যাত্রীসেবা লক্ষ্য নিয়ে শুরু করলেও সারাদিনে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টি টিকিট বরাদ্দ ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য। স্থানীয়রা বলেন, যাত্রীরা তেমন যোগাযোগ সেবা এখান থেকে পাচ্ছে না বলে জানান গণমাধ্যমকে। উদ্ধোধনের পড় হতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির জন্য, ঢাকা – কালিয়াকৈর ডেমো ট্রেন থাকলেও এখন তা আর চলছে না।সারাদিনে প্রায় ৪০ টি ট্রেন চলাচল করে এই রোড দিয়ে। কিন্তু দিনে মাত্র ২ টি ট্রেন থামে এই রেল স্টেশনে। যে দুটি ট্রেন এখানে থামে, একটি টাঙ্গাইল কমিনিউটর ও আরেকটি সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। আন্তঃনগর ট্রেনের সেবা এখান থেকে দিতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়েছে (ভি, আই, পি) কাউন্টার এবং নষ্ট হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। তাছারা ভেঙ্গে পরেছে স্টেশনের ছাদের কাচ,ভাঙ্গা যায়গা দিয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি।
এছাড়া স্টেশনটির কাছেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়।
আন্তঃনগর ট্রেন না থামার কারনে স্টেশন থেকে ফেরত যেতে হয় যাত্রীদের। স্টেশন এ সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন চন্দ্রা থেকে আসছি আমি, পঞ্চগড় যাবো কিন্তু স্টেশনে এসে শুনলাম এখানে উত্তরবঙ্গ গামী কোন আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট এখানে বিক্রি করা হয়না। আরেকজন যাত্রী ফোরকান আলী বলেন আমি নাটোর যাবো কিন্তু এখানে এসে শুনলাম এখান থেকে টিকেট পাওয়া যায়না, এখানে নাকি ট্রেন থামেনা, তাই এখন বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিছি।
তাছারা স্থানীয় একজন বলেন এখান থেকে যদি উত্তর বঙ্গের ট্রেন থামানো হয় তাহলে চান্দরা বাস সার্ভিস এর চাইতেও বেশি যাত্রী এখানে আসবে ট্রেন সেবা নিতে, এতে করে সরকারের ও লাভ আমাদের ব্যবসা বানিজ্য আরো প্রসার ঘটবে। আমরা চাই সরকার যেন এই বিষয়টি নজরে আনেন।
স্টেশনের এক কর্মকতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন
একটি আন্তঃনগর ট্রেন থামার জন্য যে পরিমান যায়গার প্রয়োজন, তা আমাদের এই খানে নেই।
তাই আন্তঃনগর সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যদি কর্তৃপক্ষ ট্রেন লাইন সম্প্রসারন করে তাহলে হয়তো আন্তঃনগর ট্রেনের সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে বলে জানান জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকাকে।