আরিফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার পাথরঘাটার কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দ মো.আউয়াল মিয়া পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, একই বাড়ির বাসিন্দা এবং নিকট আত্মীয়দের দ্বারা তারা নির্যাতন এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চরম সংকটে রয়েছেন। তার আপন চাচাতো ভাই রুহুল আমিনের কন্যা রুমা আক্তার কে দিয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাদের ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক তা আমলে নেয়নি। এরপরে তারা ৭ জন আসামির স্থলে মাত্র ৩ জনকে আসামী করে আবার একটি মামলা করেন। এই মামলায় (১)ইমরান সিকদার (২)মামুন খান এবং (৩) আউয়াল কে আসামি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আউয়াল গংরা অভিযোগ করেন, গেল ইউপি নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান তাদের প্রতিপক্ষদের মদদ দিচ্ছে। প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন এবং তার মেয়ে রুমা আক্তার কে বাদী করে অন্যায় ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলাসহ সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং হয়রানির উদ্দেশ্যে করেছেন প্রতিপক্ষ তাদের বাড়ির আত্মীয় স্বজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে মো.আউয়াল, মো.ইমরান সিকদার,মো.মামুন খান, হামিদা বেগম নামে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা উপস্থিত হন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে। আবদুল আউয়ালেরা এ সময় আরো বলেন, প্রতিপক্ষদের মামলার তদন্তভার ছিল পাথরঘাটা থানা ওসি সাহেব এর উপরে। তিনি যথাযথ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তারা কোনো ষড়যন্ত্র করেই আর সুবিধা করতে পারছিলেন না। এরপরেও প্রতিপক্ষরা তাদের ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে আসেনি। এক এর পর এক নারী নির্যাতন শ্লীলতাহানীর চেষ্টা সহ নানা ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিলে সকল কিছুই তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয় । তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন এবং এই ষড়যন্ত্র থেকে তারা মুক্তি চান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আ:রহিম মনির খতিব বলেন, স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতির শিকার এই অসহায় পরিবারটি। গেল ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাবেক মেম্বার মিজান নিজের মরা গরু জবাই দিয়েও হয়রানি করেছে আউয়ালসহ যারা মিজানের নির্বাচন করেনি তাদের কে।