গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর ইউনিয়নের ধরাইকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ- সুলতানুর রহমান গত তিন মাস হতে স্কুলে অন-উপস্থিত। স্কুল পরিদর্শন কালে দেখাযায় ঐ স্কুলে সাতজন শিক্ষকের বিপরীতে একজন সহকারী শিক্ষকে উপস্থিত পাওয়া যায়। গত মার্চ মাসে হাজিরা খাতায় শেষ স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক তারপর থেকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেননি তা হাজিরা খাতায় প্রামান পাওয়া যায়। এ বিষয়ে স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিকট জানতে চাইলে বলেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলের গত কয়েক বছরের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করলে সহকারী শিক্ষকের সাথে বাক বিতন্ড হয়। তারপর থেকে গত তিন মাস ধরে স্কুল করেন না প্রধান শিক্ষক। উক্ত ঘটনায় এলাকার ছাত্র- ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দের নিকট জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা বলেন। তারা বলেন প্রধান শিক্ষক নিজে ক্লাস করেন না অন্যরাও একই অবস্থা। এ অবস্থায় স্কুলটি পড়ালেখার পরিবেশ ভেঙ্গে পরেছে। প্রধান শিক্ষক যদি অনিয়ম করে তাহলে তার ছাত্ররা কি শিখবে তাদের প্রশ্ন। প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসী এবং প্রধান শিক্ষকের বদলি করে একজন সৎযোগ্য শিক্ষক নিয়োগের দাবি তাদের। এ বিষয়ে অভিভাবকের এবং এলাকাবসীর ভিতর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষদের এমন কর্মকান্ডের ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং ঐ ক্লাষ্টারের এটিও সাখাওয়াত হোসেন শালিশী মিমাংসার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহ- সুলতানুর রহমানের নিকট ফোন করলে তিনি ফোন কেটেদেন।
প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত না থেকে বেতন নেয় কিভাবে এমন প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী বলেন, একমাস প্রধান শিক্ষককে ডিপটেশনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে রাখা হয়েছিল। একমাস অতিবাহিত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে স্কুলে উপস্থিত হয়ে ক্লাস নেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারপরেও স্কুলে উপস্থিত না থাকার কারনে গত ৯ জুন ৫৯৯/২০২২ স্মারক নম্বরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার নির্দেশ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।