রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
ঘোষনা
গোদাগাড়ীতে ১৮০ গ্রাম হিরোইন সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। শ্রীপুর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে আগুন মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্তে সভা অনুষ্ঠিত যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশে’র অভিযানে ৬০ বোতল ফেনসিডিলসহ ব্যবসায়ী আটক, প্রাইভেট কার জব্দ। কালীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত সোনারগাঁয়ে আ.লীগ নেতার বংশ উচ্ছেদের হুমকী, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ সিরাজগঞ্জে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ আটক ২ ; কাভার্ড ভ্যান জব্দ সোনারগাঁয়ে এমপি কায়সারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় মানব বন্ধন রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মূলহোতাসহ ১১ গ্রেপ্তার *বিএডিসি দত্তনগর কৃষি খামার যখন দুর্নীতির স্বর্গ স্থল*

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার অমিতাভ-নাসিমের জামিন, শামসুল কারাগারে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ১৫ বার পঠিত

 

মোঃ মিন্টু শেখ ক্রাইম রিপোর্টার:  অমিতাভ-নাসিমের জামিন, শামসুল কারাগারে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাছিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং অন্যজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল একই আদালত এ মামলার আসামি ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। এছাড়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেন আদালত। অন্যদিকে পলাতক থাকায় ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোসসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলায় জামিনে রয়েছেন খন্দকার লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, খন্দকার মোহাতেশাম বাবর, আসিবুর রহমান ফারহান, কামরুল হাসান ডেভিড, আরিফুর রহমান দোলন ও তারিকুল ইসলাম নাসিম। এছাড়া জেলহাজতে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও এ এইচ এম ফুয়াদ। বাকি ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ জুন চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি পাওয়ায় আদালত সুয়ো মোটোভাবে (স্বতঃপ্রণোদিত) সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন- নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জী, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো. নাছিম, মো. জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো. আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো. হাসান, মো. জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুণম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো. মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো. আব্দুল জলিল শেখ, মো. রফিক মন্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এছাড়া তারা মাদক কারবার এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্পট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন তারা।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথম জীবনে দুই ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী খুন হন। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991