জুলফিকার আলী সম্রাট নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পুর্বাভাস ও আকাশে গাড় ঘনকাল মেঘের ঘনঘাটায় কামলা সংকটে ক্ষেতের বোরো ধান নিয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছে নওগাঁর জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এলাকার বোরো চাষীরা। শেষ পর্যন্ত মাঠের ধান সুষ্ঠভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাদের মনে এক শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বোরো চাষাবাদের প্রাক্কালে সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল জুড়ে পানি থাকায় এই অঞ্চলে বোরা ধান রোপন করতে প্রতিবছর কৃষকের একটু দেরী হয়। সে মতে এখানকার ধানও কাটা মাড়াই অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় একটু পরেই হয়ে থাকে।
জবই বিল এলাকার মাঠের ধান পরিপক্ক হতে একটু দেরী হওয়ায় সাপাহার উপজেলার ধান কাটা শ্রমিকগন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজে লেগে পড়েছেন। বর্তমানে জবই বিল এলাকার মাঠের ধান কলা পাকা হয়ে ওঠায় কৃষকগন ধান কাটার জন্য প্রস্তুতি নিলে চরম কামলা/শ্রমিক সংকটে পড়েন। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই আকাশে কাল মেঘের ঘনঘাটা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সংবাদে ক্ষেতের ধান নিয়ে কৃষকগন দারুন শংকিত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে প্রত্যেক কৃষকগন নিজেদের ধান নিজে কাটার জন্য ছাত্র, শিক্ষক সহ বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষ এখন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাপাহারে প্রতি ১’শ মন ধান কাটায় জিন হিসেবে শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫মন ধান। উপজেলার মালিপুর গ্রামের কৃাষক আলমগীর হোসেন, কাশিতাড়া গ্রামের আবুল কাশেম জবই গ্রামের কৃষক শাহজাহান জানান বর্তমানে এই এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের তিব্র সংকট হওয়ায় আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষেতের ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছি। সাপাহার উপজেলার জবই বিল এলাকা নিচু জমি হওয়ায় যে কোন মহুর্তে ঢলের পানিতে সমস্ত ধান তলিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় তারা মাঠ থেকে আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছে। সাপাহার উপজেলা কৃষি দপ্তরের মতে জবই বিল এলাকা সহ উপজেলায় এবারে ৫হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০ভাগ পাকা ধান মাঠ থেকে কেটে নেয়ার জন্য কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম জানিয়েছেন।