সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ-
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টেভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদেকের আরেক নাম মতি (৪০)।
এক সময় সে আম্বরখানার সবজি ব্যবসায় ছিল । সাধারণ জীবন যাপন ছিল তার হঠাৎ করে সবজি বিক্রেতা থেকে হয়ে উঠে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। এ যেন রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।
ঐ রেস্টুরেন্ট থেকে সে এখন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের গডফাদার। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে কিস্তি এবং জুয়ার খলনায়ক হিসাবে এখন আম্বরখানায় ব্যপক পরিচিত সে। তার সুদের টাকা এখন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুঁজি। বাধ্য হয়ে নিতে হয় তার কাছ থেকে লাভের উপর টাকা। কিস্তি দিতে হয় প্রতিদিন বিকেলে।
একাধিক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে মতির বিরুদ্ধে আরও তথ্য -আম্বরখানার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা মতির ও তার ভাই কালার কাছে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভ্রাম্যমাণ এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় ব্যবসার জন্য মতিকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় এবং সুদের পাঁচ হাজারে প্রতিদিন এক’শ দশ টাকা কিস্তি দিতে হয়। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমরা মতির কাছ থেকে কিস্তি না নিলে এখানে ব্যবসা করতে পারবেনা কোনো ব্যবসায়ীরা।
মতির গ্রামের বাড়ি এক ব্যক্তি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, টাউনো থাকিয়া আক্তা মতি দশ লাক্ষ ঠেখার জাগা কিনছে। মতির ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিতা করে টাউন জানিনা। আক্তা দেখি হে ধনি অইগেছে তবে কিলা অইল তা জানিনা।
আম্বরখানায় এমনিতেই রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সিসিক সহ প্রশাসনের। এর মধ্যে মতির মতো সাধারণ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী কিভাবে চাঁদা নিয়ে ফুটফাত দখল ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পরিচালনা করছে। এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন সুদের ব্যবসা যা অকল্পনীয়। এমন প্রশ্ন আম্বরখানার সচেতন ব্যবসায়ীদের।
এদিকে পুলিশের নাকের ডগায় মতির চাঁদাবাজি, কিস্তি, জুয়ার ব্যবসায় নিরব ভুমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে,থানার কর্তব্যরত পুলিশের সাথে কথা বললে, তারা বলেন এ বিষয়ে অতিসত্বর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ্বাস দিয়েছেন।