নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল দূর্নীতির প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ও কাওসার সরকার এবং অফিস পিয়ন ইকবাল।
অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিভিশন-২ এর প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ১০% কমিশন নেয় প্রতিটি কাজের বিপরীতে। এতে সুযোগ সন্ধানী ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে কাজের মান দেখে সরজমিনে তাই মনে হয়েছে প্রতিবেদকের।
রাজশাহী মেডিক্যালের কাজগুলো খুবই নিম্নমানের বলে অভিযোগ স্থানীদের। নিয়মিত পরিদর্শনেও যায় না প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্বাস্ত সুত্র নিশ্চিত করেন, বর্তমান প্রকৌশলী প্রতিটি কাজে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করেন। ইজিপি ও ওপেন টেন্ডারে কাজ পেলেও দিতে হয় কমিশন। প্রতি কমিশনের লেনদেনের সরাসরি জড়িত সহকারী প্রকৌশলী কাওসার ও পিয়ন ইকবাল। ইজিপিতে রয়েছে কারসাজি। পছন্দের ঠিকাদারদের ইজিপির কাজসাজিতে কাজ পাইয়ে দেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, গণপূর্ত বিভাগ-২ প্রকৌশলী তার আমলে চলতি কাজে ঠিকাদারদের নিকট থেকে কমিশন নিয়েছে কোটি টাকা। অভিযোগ আছে ডিভিশন-২ এর অনলাইন পরিসেবা বন্ধ। আপডেট নেই কোন কিছু। সরকারী নম্বরটি কল ফরোয়ার্ড করা প্রধান প্রকৌশলীর।
তিনি ফোন রিসিভ করেন না বা সাক্ষাৎকার দেন না সাংবাদিককে। কোন বিষয়ে কথা বলতে হলে তার অফিস পিয়ন ইকবাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
এদিকে অফিস পিয়ন ইকবাল করছে পত্রিকার বিজ্ঞাপন বানিজ্য। কমিশনে গুটিকয়েক অসাধু বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিকে কমিশনে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে দফতরটির প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সরকারি ফোনে ফোন দেওয়া হলে সেটি কল ফরোয়ার্ড পাওয়া যায়। অফিসে একাধিকবার গিয়েও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তিনি সাক্ষাৎ না করে সহকারী প্রকৌশলী কাওসার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন পিয়ন মারফত।
কথা বললে সহকারী প্রকৌশলী কাওসার সরকার বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। কোথায় অনিয়ম হচ্ছে সেটা বলতে হবে। সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(চলমান কাজের নানা অনিয়ম থাকছে ২য় পর্বে)